ভারী বর্ষণ ও উজানের ঢলে তিস্তা তীরবর্তী এলাকা ও নিম্নাঞ্চলের বসতবাড়ি থেকে পানি নামতে শুরু করেছে। মঙ্গলবার (২০ জুন) সন্ধ্যা ৬টার দিকে তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে পানি প্রবাহ বিপৎসীমার ৬০ সে.মি. নিচে রেকর্ড করা হয়।
এর আগে, সোমবার (১৯ জুন) সকালে পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এতে লালমনিরহাটের ৫ উপজেলার তিস্তার চরাঞ্চল ও তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের অন্তত ৫ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়ে। এছাড়া পানিতে ডুবে যায় রাস্তাঘাট। এদিকে তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে পানির পরিমাপ কমলেও এখনো নিম্নাঞ্চলের কিছু বাড়ি ঘরে পানিবন্দি রয়েছে।
জানা গেছে, তিস্তা ও ধরলা নদীর পানি পাওয়ায় জেলার পাটগ্রামের দহগ্রাম, হাতীবান্ধার গড্ডিমারী, দোয়ানী, সানিয়াজান ইউনিয়নের নিজ শেখ সুন্দর, ফকিরপাড়া ইউপির রমনীগঞ্জ, সিঙ্গামারি ইউনিয়নের ধুবনী, সিন্দুর্না ইউপির পাটিকাপাড়া, হলদিবাড়ী, ডাউয়াবাড়ী, কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী, শৈইলমারী, নোহালী, চর বৈরাতিসহ পাশ্ববর্তী রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার তিস্তা তীরবর্তী এলাকা, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা, পলাশী ও সদর উপজেলার ফলিমারীর চর খুনিয়াগাছ, রাজপুর ও গোকুণ্ডা ইউনিয়নের প্রায় পাঁচ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়ে।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্যাহ বলেন, “পানি বৃদ্ধি পেলেও তা আবার কমতে শুরু করেছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় যাবতীয় প্রস্তুতি রয়েছে।”