• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বন্যা পরিস্থিতি আরও অবনতি, ত্রাণের জন্য হাহাকার


ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: অক্টোবর ৫, ২০২৪, ১২:৫০ পিএম
বন্যা পরিস্থিতি আরও অবনতি, ত্রাণের জন্য হাহাকার

ময়মনসিংহের ধোবাউড়ায় বন্যা পরিস্থিতি আরও অবনতি হয়েছে। টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে উপজেলার নিম্নাঞ্চলসহ পুরো উপজেলা পানিতে প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে হাজার হাজার মানুষ। 

শনিবার (৬ অক্টোবর) বন্যা পরিস্থিতি আরও অবনতি হয়েছে।  দুর্ভোগে পড়েছে সাধারণ মানুষ। ঘরের মধ্যে পানি ঢুকায় রান্নার কাজও ব্যাহত হচ্ছে। মানুষের এত দুর্ভোগেও প্রশাসনের নেই কোনো ত্রাণ কার্যক্রম। বন্যাকবলিত মানুষরা সেখানে দ্রুত এাণ পাঠানোর জন্য জোর দাবি জানাচ্ছে।

এর আগে, শুক্রবার বিকেলে উপজেলার কলসিন্দুর, জিগাতলা এবং পঞ্চনন্দপুরসহ বিভিন্ন পয়েন্ট নেতাই নদীর বাঁধ ভেঙে পুরো উপজেলা প্লাবিত হয়। 

শনিবার সকালে উপজেলার বন্যা কবলিত এলাকা ঘুরে দেখা যায়, টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে হাজার হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। এ সময় উপজেলার গোসাইপুর গ্রামের আব্দুল কদ্দুস নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে কথা হয়। 

তিনি জানান, গতকাল শুক্রবার রাত ৮টা থেকে ঘরের মধ্যে পানি।  রান্না করার চুলা পানির নিচে। না খেয়ে ঘরের মধ্যে ছেলে-মেয়ে নিয়ে বসে আছি।

কলসিন্দুর গ্রামের আনোয়ার হোসেন নামের আরেকজন বলেন, সন্ধ্যায় নেতাই নদীর বাঁধ ভেঙে ঘর-বাড়ি পানিতে তলিয়ে গেছে।রান্না করার জন্য বাজার থেকে গ্যাসের বোতল কিনে আনলেও আর রান্না করা সম্ভব হচ্ছে না। গ্যাসের বোতলও পানিতে ভাসিয়ে গেছে। রাত থেকে পরিবারের লোকজন না খেয়ে আছে। সাতরাইয়া বাজার থেকে মুড়ি কিনে আনছি।

স্থানীয় আরিফ মন্ডল বলেন, “আমাদের এলাকায় হাজার হাজার মানুষ পানিবন্দী। তলিয়ে গেছে হাজার হাজার একর আমন ধানের ক্ষেত।  পুকুর ডুবে চলে গেছে লাখ লাখ টাকার মাছ। রাত থেকে বাড়ি-ঘরে পানি থাকায় না খেয়ে আছে লোকজন। আমাদের বন্যা কবলিত এলাকায় প্রচুর ত্রাণ প্রয়োজন। দ্রুত ত্রাণ দেওয়ার জন্য প্রশাসনের নিকট দাবি জানাই।”

গামারীতলা ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন খান বলেন, “কলসিন্দুরসহ বিভিন্ন পয়েন্ট নেতাই নদীর বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছে বিভিন্ন এলাকা পানিবন্দি অসংখ্য মানুষ। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।”

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিশাত শারমিন বলেন, “আমি বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শন করছি। ত্রাণ কার্যক্রম আজকের মধ্যে শুরু করার চেষ্টা করছি। প্রক্রিয়া চলছে।” 

Link copied!