ঘন কুয়াশায় থাকায় উত্তরের জনপদ নীলফামারী থেকে ঢাকা উদ্দেশে কোনো বিমান ছাড়েনি। এখানেও কোনো বিমান আসেনি। বিমানবন্দরে অপেক্ষায় আছেন যাত্রীরা। মহাসড়কে গাড়ি চলছে হেডলাইট জ্বালিয়ে।
রোববার (৮ ডিসেম্বর) সকালে জেলার সৈয়দপুর আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লোকমান হাকিম বলেন, সকাল ৬টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৪ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। উড়োজাহাজ চলাচলের জন্য কমপক্ষে ২০০০ মিটার ভিজিবিলিটি (দৃষ্টিসীমা) প্রয়োজন হয়। তবে এখানে এখন দৃষ্টিসীমা মাত্র ৫০ মিটার। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পরিস্থিতির উন্নতি হলে উড়োজাহাজ চলাচল স্বাভাবিক হতে পারে।
সৈয়দপুর বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক এ কে এম বাহাউদ্দিন জাকারিয়া জানান, এখনো কোনো ফ্লাইট বাতিল করা হয়নি। দুপুরের দিকে আবহাওয়ার উন্নতি হলে উড়োজাহাজ চলাচল স্বাভাবিক হতে পারে।
এদিকে রাত থেকে টিপটিপ বৃষ্টির মতো কুয়াশা পড়ছে। শীতের কারণে অভাবী ও ছিন্নমূল মানুষেরা কষ্ট পাচ্ছেন। সরকারি ও বেসরকারিভাবে এখনো কম্বল ও শীতবস্ত্র বিতরণ শুরু হয়নি। নদী অববাহিকার লোকজন সবচেয়ে বেশি কষ্ট পাচ্ছেন। রিকশাচালক জয়নাল আবেদীন বলেন, ‘হাত-পাও ঠান্ডা হয়া যায়ছে। গাড়ি চালামো কেমন করিয়া।’