জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার কুলিয়া ইউনিয়নে ২৩ বছর বয়সী এক যুবতীকে মো. সজল (২৭) নামে এক যুবকের ধর্ষণের শিকারে সাড়ে পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত মো. সজল মিয়া ওই ইউনিয়নের (ওমান প্রবাসী) মো. রফিকুল ইসলামের ছেলে। এ ঘটনায় দিশাহারা হয়ে পড়েছেন ওই যুবতী ও তার পরিবার।
ওই যুবতীর বাবার অভিযোগ, স্থানীয় ইউপি সদস্য এই ঘটনাটি সমঝোতা করার দেওয়ার জন্য একাধিক তারিখ নিয়েছেন। কিন্তু ঘটনা এখনো কোনো সমঝোতা হয়নি।
অন্তঃসত্ত্বা যুবতী বলেন, “সজলের বাড়ি আর আমাদের বাড়ি পাশাপাশি। আমার অন্য এক জায়গায় বিয়ে হয়েছিল। পরে সজলের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক হয়। সজল বিয়ে করবে বলে সেখানে থেকে আমাকে এক বছর আগে ছাড়িয়ে আনে। গত চৈত্র মাসের ১৮ তারিখ রাত ১০টায় আমার ঘরে ঢুকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ওইদিন বাড়িতে মা-বাবা ছিল না। তারা সবাই নানা বাড়িতে ছিল। কিছুদিন আগে আমি অসুস্থ হলে আমার মা আমাকে নিয়ে টেস্ট করালে জানতে পারি আমার পেটে সাড়ে পাঁচ মাসের বাচ্চা। পরে সব জানাজানি হয়।’
ওই যুবতীর বাবা বলেন, “আমি গরিব মানুষ, ঘটনা জানার পর মেম্বারকে জানিয়েছি। আজ ১৫ দিন ধরে বলতাছে মিমাংসা করে দিবে। কিন্তু কেউ মিমাংসা করে দিচ্ছে না। মিমাংসা করবে বলে খালি তারিখ দিচ্ছে। কিন্তু কেউ সমাধান করছে না। এখন মেয়েকে নিয়ে কার কাছে যাব, কী করব?”
ওই যুবতীর চাচা বলেন, “মেম্বার এ ঘটনায় নিয়ে কয়েকবার সালিশ বসার কথা বলে। কিন্তু সালিশি হয়নি। আবার রাতে চেয়ারম্যান, মেম্বারসহ সালিশি বসার কথা। এখন রাতের সালিশ হবে কি না তাও জানি না। তবে অভিযুক্ত সজলের বাড়িতে কেউ না থাকায় তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।”
কুলিয়া ইউনিয়নে ইউপি সদস্য উজ্জ্বলের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলতে গেলে তিনি কোনো কথা বলেননি।
মেলান্দহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘আমার কাছে এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।”