সিরাজগঞ্জের তাড়াশে দ্বিতীয় বিয়ের প্রতিবাদ করায় প্রথম স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে আলমগীর হোসেনের (৪৮) নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে।
রোববার (১৩ অক্টোবর) রাত ৮টার দিকে উপজেলার তালম ইউনিয়নের গুল্টা হাজীপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত গৃহবধূর নাম অন্তরা খাতুন (৩৫)। অভিযুক্ত আলমগীর হোসেন গুল্টা হাজীপাড়া গ্রামে বাদল সরকারের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, আলমগীর হোসেনের সঙ্গে ২০ বছর আগে ঢাকায় পোশাক কারখানায় চাকরি করার সুবাদে বরিশাল জেলার মেয়ে অন্তরার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে তারা দুজন বিয়ে করে আলমগীরের গ্রামের বাড়িতে বসবাস করে আসছেন। তাদের ঘরে একটি মেয়ে ও একটি ছেলেসন্তান রয়েছে। মেয়েকে তারা বিয়েও দিয়েছেন। এদিকে কিছুদিন আগে আলমগীর হোসেন অন্যত্র দ্বিতীয় বিয়ে করেন। এ নিয়ে প্রথম স্ত্রী অন্তরা খাতুন প্রতিবাদ করেন।
এ নিয়ে স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে বিরোধের সৃষ্টি হয়। এর মধ্যে গতকাল সন্ধ্যায় আলমগীর তার দ্বিতীয় স্ত্রীকে বাড়িতে আনার প্রস্তাব দিলে প্রথম স্ত্রী অন্তরা খাতুন প্রতিবাদ করেন। তখন রেগে গিয়ে স্বামী আলমগীর অন্তরাকে বেধড়ক পেটাতে থাকেন। একপর্যায়ে অন্তরা খাতুনকে পিটিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে গলায় রশি পেঁচিয়ে ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলিয়ে রেখে অন্তরা আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রচারের চেষ্টা করেন।
পরে তাড়াশ থানা পুলিশ খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে।
এ সময় সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করতে গিয়ে গৃহবধূর শরীরে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন দেখতে পান তারা এবং তাৎক্ষণিকভাবে স্বামী আলমগীর হোসেনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন।
তাড়াশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসলাম হোসেন জানান, সোমবার সকালে গৃহবধূর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সিরাজগঞ্জ শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সেই সঙ্গে গৃহবধূর স্বজনদের থানায় আসতে বলা হয়েছে। তারা এলে মামলা দায়ের সম্পন্ন করা হবে।