নীলফামারীতে সোনালী ব্যাংকের একটি উপ-শাখায় নিরাপত্তাকর্মীকে মারধর করে ডাকাতির চেষ্টা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। ডাকাতি করতে ব্যর্থ হয়ে তারা ব্যাংকে আগুন ধরিয়ে দেয়।
শনিবার (১১ জানুয়ারি) রাত দেড়টার দিকে নীলফামারী সদর উপজেলার সংগলশী কাজীরহাট এলাকায় উত্তরা ইপিজেড উপ-শাখায় এ ঘটনা ঘটে। এতে কিছু নথিপত্র, কম্পিউটার ও আসবাবপত্র ভস্মীভূত হয়েছে।
নিরাপত্তাকর্মী মাসুদ রানা বলেন, “শনিবার গভীর রাতে আমার শরীর একটু খারাপ ছিল। এজন্য ঘুম আসছিল না। পান খেতে বের হই, পান খেয়ে ভেতরে যাই। এরপর আমি ফিরেই বাথরুমে যাই। বাথরুম থেকে বের হাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে একব্যক্তি আমাকে আঘাত করে। এরপর আরও দুইজন আসে। এসে আমাকে বেঁধে রাখে। তারপর আমার কাছে লকারের চাবি চায়। আমি না দিলে আমাকে বেঁধে রেখে অনেক ভয়ভীতি দেখায়। এরপর অনেক খোঁজাখুঁজি করে। কোনো কিছু না পেয়ে তারা সেখানে আগুন দিয়ে চলে যায়। আমি যতটুকু দেখতে পেরেছি প্রথমে তারা ক্যাশ কাউন্টারে আগুন দেয়। এরপর আমি আর কিছু বলতে পারি না।”
সোনালী ব্যাংক উত্তরা ইপিজেড উপ-শাখার ইনচার্জ আব্দুল মোনায়েম বলেন, “রাত ২টা ৩০ মিনিটের দিকে ভবনের মালিক আমাকে ফোন দিয়ে জানায় যে ‘স্থানীয় দোকানদার আমাকে জানাইলো আপনার ব্যাংক থেকে ধোঁয়া বের হচ্ছে। আপনাদের গার্ড রাস্তায় পড়ে আছে।’ আমি আমার ঊর্ধ্বতন স্যারের সঙ্গে পরামর্শ করি। উনি আমাকে জরুরি সেবা ‘৯৯৯’ নম্বরের সহযোগিতা নিতে বলেন। আমি ৯৯৯ এ ফোন দিয়ে ফায়ার সার্ভিসের সহযোগিতা চাই। আমাদের তেমন কোনো কাগজপত্র নষ্ট হয়নি, উপশাখা সংক্রান্ত কিছু চিঠি পুড়ে গেছে। আমাদের এই উপ-শাখায় কোনো টাকা থাকে না। সকালে আমরা জেলা থেকে টাকা নিয়ে আসি এবং সারাদিন ব্যাংকিং কাজ শেষে আবার সন্ধ্যায় সেই টাকা জেলা শাখায় গিয়ে জমা দিয়ে আসি।”
নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম আর সাইদ বলেন, “এ বিষয়ে অভিযোগ এসেছে। তদন্ত করে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।”