ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অর্থপাচারের গুরুত্বপূর্ণ নথি ধ্বসংসের জন্য সচিবালয়ে আগুন দেওয়া হয়েছে বলে মনে করছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) সকালে রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার ছড়ান আটপুনিয়ায় এলাকায় সচিবালয়ে আগুন নির্বাপণের কাজে গিয়ে ট্রাকচাপায় নিহত ফায়ার সার্ভিসের কর্মী সোহানুর জামান নয়নের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এ মন্তব্য করেন তিনি।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, “স্বৈরাচার শেখ হাসিনাসহ তার পতিত রাজনীতিবিদদের পাচার করা অর্থের নথিপত্র ধ্বংস করতে সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটানো হয়েছে। শেখ হাসিনার মুখ্য সচিবের অর্থপাচারের নথিপত্র ছিল সেখানে। নয়ন রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ এই ভবনটি রক্ষা করতে জীবন দিয়েছেন।”
বিএনপির এই নেতা বলেন, “পরাজিত শক্তিরা এখন রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় ঘাপটি মেরে থেকে ষড়যন্ত্রের পাঁয়তারা করছে। সেসব রুখে দিতে নয়নের মতো ছেলেরা জীবন দিচ্ছেন। গণতন্ত্রকে স্থায়ীরুপ দিতে পারলে স্বড়যন্ত্রকারীরা পরাজিত হবে, দেশ শান্তিময় হবে।”
রুহুল কবির রিজভী বলেন, “দেশের এই লুটপাটের স্বর্গ রাজ্যের ষড়যন্ত্র রুখে দিতে নয়নের মত দুঃসাহসী ছেলেরা আজ জীবন দিচ্ছে। পেশাদারিত্বের দারুণ দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে নয়ন। তাঁর পরিবারকে বাঁচাতে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করতে এগিয়ে এসেছে বিএনপি।”
নিহত নয়নের পরিবারের পুনর্বাসনের দায়িত্ব নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। পরিবারের সদস্যদের বিকল্প চাকরি ব্যবস্থা করার দাবি জানান তিনি।
বিএনপির এই নেতা জানান, সরকার ব্যর্থ হলে বিএনপি এই দায়িত্ব গ্রহণ করবে।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, কেন নিত্যপণ্যের দাম হু হু করে বাড়বে সেটির জবাব এই বিপ্লবী সরকারকে দিতে হবে এবং যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। সর্বক্ষেত্রে সরকারকে আরও দায়িত্বশীল হওয়ার কথা জানান রিজভী।
এ সময় ‘আমরা বিএনপি পরিবার’–এর আহ্বায়ক আতিকুর রহমান রুম্মন, সদস্য সচিব মাকসিদুল মোমেনিন মিঠুন, রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব দুলুসহ জেলা ও মহানগর বিএনপির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।