টাঙ্গাইলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অসহযোগ কর্মসূচি ঘিরে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় এমপি তানভীর হাসান ছোট মনিরের বাসভবন, পেট্রোলপাম্প ও হাইওয়ে রেস্তোরাঁয় ভাঙচুর ও আগুন দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় একজন গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।
রোববার (৪ আগস্ট) বেলা ১১টায় টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সামনে সড়ক অবরোধ করে দিনের কর্মসূচি শুরু করেন তারা। এসময় বিএনপির নেতাকর্মী ও সাধারণ জনগণও বিক্ষোভে অংশ নেন।
সকালে বিভিন্ন এলাকা থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে প্রেসক্লাবের সামনে জড়ো হন আন্দোলনকারীরা। এসময় তারা বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দিতে থাকেন।
সাড়ে ১১ টার দিকে ‘শহরের বটতলা এলাকায় দুই ছাত্রীকে মারধর করা হয়েছে’ এমন খবর পেয়ে সেখানে যান আন্দোলনকারীরা। এরপর শহরের বিবেকানন্দ হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে গিয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট জোয়াহেরুল ইসলামের প্রাইভেটকার ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেন।
পরে আন্দোলনকারীরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে জেলা সদর রোড হয়ে সিঅ্যান্ডবি রোড দিয়ে পুরাতন বাসস্ট্যান্ডের দিকে যাচ্ছিলেন। এসময় হঠাৎ তাদের মিছিলে কে বা কারা গুলি চালায়। এতে একজন গুলিবিদ্ধ হন।
পরে আন্দোলনকারীরা জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক তানভীর হাসান ছোট মনিরের বাসভবনে গিয়ে ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয়। এরপর ছোট মনিরের মালিকানাধীন ‘দি টাঙ্গাইল মডেল ফিলিং স্টেশন ও একটি রেস্টুরেন্টে ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেওয়া । দুপুর ২টার পর আন্দোলনকারীরা মহাসড়ক ছেড়ে খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে শহরের দিকে চলে যাওয়ার পর যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
এদিকে, জেলার কালিহাতী উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় ভাঙচুর করেন আন্দোলনকারীরা। হামলায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজহারুল ইসলাম তালুকদার ঠান্ডু আহত হয়েছেন।
টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) শরফুদ্দিন জানান, একটি বিক্ষোভ মিছিল আদালত চত্ত্বরের দিকে যাওয়ার পথে পুলিশ ২-৩টি টিয়ার শেল ছুড়ে মিছিলটি ফিরিয়ে দেয়। অন্য কোথাও পুলিশ কোনো অ্যাকশনে যায়নি। আন্দোলনকারীরা নির্বিঘ্নে বিক্ষোভ মিছিল করেছে।