লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন লালমনিরহাট-২ আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদের ছোট ভাই বর্তমান চেয়ারম্যান মাহবুবুজ্জামান আহমেদ ও পুত্র রাকিবুজ্জামান আহমেদ।
রোববার (২১ এপ্রিল) বিকেলে অনলাইনের মাধ্যমে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন এমপিপুত্র রাকিবুজ্জামান আহমেদ। এর আগে শনিবার (২০ এপ্রিল) মনোনয়নপত্র দাখিল করেন এমপির ছোটভাই মাহবুবুজ্জামান আহমেদ।
মাহবুবুজ্জামান কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান এবং জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য। অপরদিকে রাকিবুজ্জামান আহমেদ জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক।
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মন্ত্রী ও এমপির পরিবারের সদস্য, আত্মীয়-স্বজনদের অংশগ্রহণ না করতে এবং অংশগ্রহণের প্রক্রিয়ায় থাকলে সেখান থেকে সরে আসতে কেন্দ্রীয়ভাবে নির্দেশ দেয় আওয়ামী লীগ। এরপরও উপজেলা নির্বাচনে এমপির পুত্র ও ভাই মনোনয়নপত্র দাখিল করায় জেলার দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে শুরু হয়েছে আলোচনা-সমালোচনা।
এদিকে ভোটের মাঠে চাচা-ভাতিজা কেউ কাউকে ছাড় দিতে নারাজ। এ নিয়ে ভোটারদের মাঝেও রয়েছে ব্যাপক কৌতূহল।
ভোটাররা জানান, চাচা-ভাতিজা দুজন প্রার্থী হওয়ায় তারা কাকে ভোট দেবেন, এ নিয়ে বিড়ম্বনায় পড়েছেন অনেকে। বিপাকে পড়েছেন তাদের আত্মীয়-স্বজনরাও। তবে নির্বাচন পর্যন্ত ভোটারদের কাছে চাচা-ভাতিজার নির্বাচনী লড়াই বেশ উপভোগ্য হবে বলে জানান অনেকে।
মনোনয়নপত্র দাখিলের পর প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে বর্তমান চেয়ারম্যান মাহবুজ্জামান আহমেদ বলেন, “আমি দুইবারের উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান। জয়ের ব্যাপারে আমি শত ভাগ আশাবাদী। এ ক্ষেত্রে আমার ভাতিজা তেমন কোনো সমস্যা নয় বা কোনো প্রভাব ফেলতে পারবে না।”
অপরদিকে রাকিবুজ্জামান আহমেদ বলেন, “দলীয় শতাধিক নেতাকর্মী আমার জন্য মাঠে থাকবেন। চাচার পেছনে এখন কোনো নেতাকর্মী নেই।”
উপজেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা জহির ইমাম জানান, আগামী ২১ মে কালিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে যে কেউ নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারেন। আমাদের কাছে সব প্রার্থীই সমান। এ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দানের শেষ দিনে চেয়ারম্যান পদে ৩ জন, ভাইস-চেয়ারম্যান পদে ৫ জন ও মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান পদে ২ জন মনোনয়ন দাখিল করেছেন।