আগামী মাস থেকে সারাদেশে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি আওতায় পঞ্চাশ লাখ মানুষকে ১৫ টাকা দরে ৩০ কেজি করে চাল দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
রোববার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে নওগাঁ শহরের আটাপট্টি ও রুবির মোড়ে চলমান ওএমএস ডিলারদের বিক্রয় কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন মন্ত্রী।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, “সরকারি গুদামে খাদ্য মজুদ অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। ১০ লাখ টন চাহিদার বিপরীতে ২১ লাখ টনের অধিক মজুদ আছে।”
মন্ত্রী বলেন, “নিম্ন আয়ের জনগণ যাতে কষ্ট না পায় তার জন্য ওএমএস চালু রাখা হয়েছে এবং আমরা ওএমএস দিয়ে যাব। আগামী পহেলা মার্চ থেকে সারাদেশে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি শুরু হচ্ছে। এ কর্মসূচিতে পঞ্চাশ লাখ লোক ১৫ টাকা দরে ৩০ কেজি করে চাল পাবেন। এছাড়া সারাদেশে প্রতিদিন চাল ও আটা মিলিয়ে প্রায় ১৪-১৫ হাজার টন খাদ্য বিতরণ করা হচ্ছে। যতোদিন মানুষের চাহিদা থাকবে ততোদিন ওমমএস কার্যক্রম চালু রাখা হবে। এর পাশাপাশি খাদ্যবান্ধব অন্যান্য কর্মসূচিও চলবে। তাই আতঙ্কের কিছু নেই। দেশে কোনো খাদ্য সংকট হবে না।”
ব্যবসায়ীদের হুঁশিয়ারি দিয়ে মন্ত্রী বলেন, “অতি মুনাফার লোভে খাদ্য দ্রব্য মজুদ করে মানুষকে বিপদে ফেলার চেষ্টা করবেন না। নতুন আইন হচ্ছে। ইতোমধ্যে অনেক গ্রুপের বিরুদ্ধে মামলাও করা হয়েছে। ব্যবসায়ী, ওএমএস ডিলার, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ডিলারদের প্রতি নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।”
এ সময় নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো. আব্দুল খালেক, নওগাঁর জেলা প্রশাসক ও জেলা খাদ্য মনিটরিং কমিটি সভাপতি খালিদ মেহেদী হাসান, খাদ্যমন্ত্রীর একান্ত সচিব উত্তম কুমার রায়, রাজশাহীর আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক জিএম ফারুক হোসেন পাটওয়ারী, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আলমগীর কবির, সদর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. আমিনুল কবির, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয়ের খাদ্য পরিদর্শক মো. আতিকুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।