• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

চিলমারী-রৌমারী নৌপথে শুরু হলো ফেরি চলাচল


কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২০, ২০২৩, ০৫:৪৯ পিএম
চিলমারী-রৌমারী নৌপথে শুরু হলো ফেরি চলাচল

কুড়িগ্রামের চিলমারী নদীবন্দরের চিলমারী-রৌমারী নৌপথে চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হলো ফেরি কুঞ্জলতা। এতে এ পথ দিয়ে চলাচল করা তিন উপজেলার কয়েক হাজার মানুষের ভোগান্তি কমলো।

বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে চিলমারী নদীবন্দরে ফিতা কেটে ফেরি চলাচলের উদ্বোধন করেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। এর আগে শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) আরিচা ঘাট থেকে আসা কুঞ্জলতা নামের ফেরিটি সন্ধ্যায় চিলমারী নদীবন্দরে সংযুক্ত করা হয়।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, “শুধু বাংলাদেশের ওপর পশ্চিমাদের চাপ নয়, বাংলাদেশেরও চাপ আছে পশ্চিমাদের ওপর। আমরা যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছি, আলোচনার টেবিলে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়নি। এই দেশ অন্য দেশের কথায় চলবে না, জনগণের কথায় এবং সংবিধানের নিয়মে চলবে।”

এদিকে চিলমারী-রৌমারী রুটে ফেরি চলাচল উদ্বোধনের দিন চিলমারী বন্দরে ফেরির ভাড়া কমানোর দাবি তোলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রস্তাবিত ভাড়া সিএনজিচালিত প্রাইভেটকার/অটোরিকশা ৬৬০ টাকা থেকে কমিয়ে ৩০০ টাকা, মোটরসাইকেল ২২০ টাকা থেকে কমিয়ে ১০০ টাকা, বাই সাইকেল ১২০ টাকা থেকে কমিয়ে ৫০ টাকা, জনসাধারণের জন্য প্রস্তাবিত ৮০ টাকা কমিয়ে ৫০ টাকা করা হয়। এ ছাড়া অ্যাম্বুলেন্সের কোনো ভাড়া দেওয়া লাগবে না বলেও ঘোষণা দেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী।

এ সময় প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, “আজ থেকে ফেরি চলালের কারণে ব্রহ্মপুত্র নদবিধৌত রৌমারী ও রাজীবপুর উপজেলার মানুষদের জেলা শহরে যাতায়াতে ভোগান্তি কমে আসবে। চিলমারী-রৌমারী রাজিবপুর নয়, কুড়িগ্রামের সঙ্গে ঢাকার যোগাযোগ অনেক সহজ হবে, যাতায়াত খরচও কমে যাবে। পরবর্তীতে আরও একটি ফেরি এ রুটে যুক্ত হবে। ওই ফেরি রুটের নাব্যতা বজায় রাখার জন্য দুটি ড্রেজার থাকবে।”

ব্রহ্মপুত্র নদের বুকে চিলমারী-রৌমারী রুটে নৌপথের দৈর্ঘ্য ২১ কিলোমিটার। তবে নদের ড্রেজিং করা হলে এ পথের দৈর্ঘ্য কমে হবে ১৩ থেকে ১৪ কিলোমিটার। কুড়িগ্রাম জেলার ৯টি উপজেলার মধ্যে দুটি উপজেলা রৌমারী ও চর রাজীবপুর ব্রহ্মপুত্র নদ দিয়ে বিচ্ছিন্ন। এ দুটি উপজেলার মানুষকে নৌকায় করে ঝুঁকি নিয়ে কুড়িগ্রাম জেলা শহরে যেতে হতো। এখন ফেরি চলাচল শুরু হওয়ায় তারা নিরাপদে ভ্রমণ করতে পারবেন।

বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান আরিফ আহমেদ মোস্তফার সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত সচিব বিআইডব্লিও টিসির চেয়ারম্যান এস এম ফেরদৌস আলম, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরিফ, জেলা পুলিশ সুপার আল আসাদ মো. মাহফুজুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন প্রমুখ।

Link copied!