পঞ্চগড়ে ১৫ বছরের মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে সাইফুল ইসলাম (৪৯) নামের এক ব্যক্তিকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
রোববার (৩০ জুন) দুপুরে পঞ্চগড় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যালের বিচারক বি এম তারিকুল কবির এই রায় দেন। সাইফুলের বাড়ি উপজেলা সদরের কামাত কাজলদিঘী ইউনিয়নের সিপাইপাড়া এলাকায়।
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ধর্ষণের শিকার মেয়েটি সাইফুলের প্রথম স্ত্রীর সন্তান। পরে আবার বিয়ে করায় প্রথম স্ত্রী ভিকটিম মেয়ে ও তার দুই ছেলেকে নিয়ে বাবার বাড়িতে চলে যান। ২০২৩ সালের আগস্টে তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। পরে ওই বছরের ২১ সেপ্টেম্বর ওই মেয়ে চাচতো ভাইয়ের বিয়ে উপলক্ষে বাবা সাইফুলের বাড়িতে যান। ২৪ সেপ্টেম্বর সাইফুল তার ঘরে ঘুমন্ত ওই মেয়েকে ধর্ষণ করেন। পরবর্তীতে তাকে হুমকি ও ভয়ভীতি দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। এক পর্যায়ে ভুক্তভোগী অন্তঃস্বত্ত্বা হয়ে পড়ে।
এ ঘটনায় ১৮ নভেম্বর ওই মেয়ের মা বাদী হয়ে সদর থানায় ধর্ষণ মামলা করেন। মামলার সাক্ষগ্রহণসহ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে রোববার বিচারক মেয়ে ধর্ষণের অভিযোগে সাইফুলের আমৃত্যু কারাদণ্ড প্রদান করেন।
আসামিপক্ষের আইনজীবী আহসান উল্লাহ আল হাবিব লাবু বলেন, “এই রায়ের বিরুদ্ধে আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করব।”
এ বিষয়ে পঞ্চগড় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যালের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট আজিজার রহমান আজুর মন্তব্য পাওয়া যায়নি।