নড়াইলের কালিয়ায় পূর্ব শত্রুতার জেরে বাবা-ছেলেকে কুপিয়ে হাত-পা বিচ্ছিন্ন করার ঘটনা ঘটেছে। এঘটনায় ইতোমধ্যে ১৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সোমবার (২৪ মার্চ) সকালে কালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাশিদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে রোববার (২৩ মার্চ) রাতে ফরিদপুরের ভাঙ্গা থেকে আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তাররা হলেন- কালিয়ার কলাবাড়িয়া গ্রামের মুক্তি শেখ, এরশাদ শেখ, নূর মিয়া শেখ, আকিজ শেখ, রাইসুল শেখ, তারা মিয়া শেখ, হাসান শেখ, মাহাবুব শেখ, রাসেল শেখ, রাশেদ শেখ, শাহিন মোল্যা, আজিজুল শেখ, আলমগীর শেখ, শিমুল মোল্যা, আজিম কাজী ও রইল মোল্যা। মামলার প্রধান আসামি সোহেল রানাসহ ৩ জন এখনো পলাতক।
পুলিশ জানায়, রোববার কালিয়া থেকে একটি মাইক্রোবাসে আসামিরা এক সঙ্গে ঢাকা যাচ্ছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ মাইক্রোবাসটির পেছন পেছন যেতে থাকে। পরে ফরিদপুলের ভাঙ্গা থানা এলাকায় পৌঁছালে কালিয়া থানা পুলিশ ভাঙ্গা থানার সহযোগিতায় আসামিদের গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। পরে তাদের আদালতে প্রেরণ করা হয়।
এর আগে গত ৬ মার্চ (বৃহস্পতিবার) সকালে কালিয়ার কলাবাড়িয়া থেকে অসুস্থ বাবা আবিদ শেখকে নিয়ে অটোরিকশায় করে কালিয়া স্বাস্থ্য কেন্দ্রে যাচ্ছিলেন শামীম শেখ। জয়পুর মোড়ে পৌঁছালে কলাবাড়িয়া এলাকার ইউপি মেম্বর সোহেল শেখ ৩টি মোটরসাইকেলে দলবল নিয়ে তাদের গতিরোধ করেন।
এসময় তারা বাবা-ছেলেকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে পালিয়ে যায়। পরে তাদের উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে এবং পরবর্তীতে অবস্থা খারাপ হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে পাঠানো হয়।
স্থানীয়রা জানান, ছেলে শামীম শেখের হাত ও পায়ের রগ কেটে ফেলেছে সন্ত্রাসীরা, আর আবিদ শেখের ডান পা কেটে ফেলতে হয়েছে। এ ঘটনায় আহত আবিদ শেখের অপর ছেলে সেলিম শেখ বাদী হয়ে ১৯ জনকে আসামি করে ১০ মার্চ কালিয়া থানায় হত্যাচেষ্টা মামলা করেন।
কালিয়া থানার ওসি রাশিদুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে ভাঙ্গা থানার সহযোগিতায় ১৬ আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। আসামিদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। পুলিশ এলাকার পরিস্থিতি ওয়াচ করছে।