চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে যুবলীগের রাজনীতি করা ছেলেকে নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে ত্যাজ্য করেছেন ছিদ্দিকুর রহমান নামের এক ব্যক্তি। রোববার (১৫ ডিসেম্বর) তিনি ছেলেকে ত্যাজ্য করেন। মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) সিদ্দিকুর রহমান বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন।
যুবলীগ নেতার নাম মো. মহসিন আলম মোহন। তিনি উপজেলার গুপ্টি পশ্চিম ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক। মোহন ছিদ্দিকুর রহমানের জ্যেষ্ঠ ছেলে।
নোটারি পাবলিকের হলফনামায় সাক্ষী হিসেবে ছিলেন মহসিন আলম মোহনের মা ফাতেমা বেগম, বোন সাহানা আক্তার ও আত্মীয় খলিলুর রহমান। নোটারি পাবলিক কার্যালয় চাঁদপুরের আইনজীবী এ কে এম লোকমান হোসাইনের মাধ্যমে ছেলেকে ত্যাজ্য করেন তিনি।
ছিদ্দিকুর রহমান বলেন, “২০১৪ সালের পর থেকে তার সঙ্গে আমার সম্পর্ক নেই। আমি অসুস্থ হওয়ায় তাকে স্থানীয় খাজুরিয়া বাজারে ব্যবসা (হার্ডওয়্যার) দেখাশোনা করতে দিয়েছিলাম। সেই প্রতিষ্ঠান থেকে প্রায় ১০ বছরে সে ৪০ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছে। নিজের পছন্দে বিয়ে করেছে। লোকজনকে ডিপ টিউবওয়েল, রাস্তাঘাটসহ সরকারি বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার নামে বহু টাকা আত্মসাৎ করেছে। মানুষ এখন সেই টাকার জন্য আমাকে বিভিন্ন স্থানে অপমান-অপদস্থ করছে। তাই আমি জীবনের নিরাপত্তা ও আত্মসম্মান রক্ষার জন্য তাকে ত্যাজ্য করতে বাধ্য হয়েছি।”
ছিদ্দিকুর রহমান আরও বলেন, “৫ আগস্টের পর পাওনাদারসহ অন্যান্য লোক আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে প্রায় ১২ লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে। আরও যারা টাকা পাবে, তারা আমাকে হুমকি-ধমকি দিচ্ছে। যে কারণে আমি এখন বাড়ি থেকে বের হতে পারি না। আর আমার ছেলে বিগত দিনে লোকজনের টাকা ফেরতসহ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের টাকার হিসাব চাইলে আমাকে এবং পরিবারের সদস্যদের বেশ কয়েকবার প্রাণনাশের হুমকি দেয়।”
এদিকে চার বছর ধরে মো. মহসিন আলম মোহন স্ত্রীসহ পলাতক। তার ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বর বন্ধ।
ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি কামাল পাটওয়ারী বলেন, “মো. মহসিন আলম মোহন মানুষকে ডিপ টিওবঅয়েল প্রদান, রাস্তাঘাট পাকাকরণসহ সরকারি বিভিন্ন সুযোগ সুবিধার কথা বলে টাকা নিয়ে আত্মসাৎ করেছে। চার বছর ধরে সে পলাতক। জেলা যুবলীগের নির্দেশনা মোতাবেক ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদককে দিয়ে আমরা সাংগঠনিক কার্যক্রম চালিয়েছি।”