• ঢাকা
  • রবিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আমন ধান রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক


নওগাঁ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: জুলাই ৩১, ২০২৪, ০৩:৩৭ পিএম
আমন ধান রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক

নওগাঁয় শুরু হয়েছে আমন ধান রোপণের মৌসুম। গ্রাম বাংলার চিরচেনা দৃশ্যের মতো এখানেও মাঠজুড়ে দেখা যাচ্ছে কৃষকদের কর্মব্যস্ততা। বিভিন্ন গ্রামে এখন কৃষকরা সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত আমন ধান রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছেন।

জেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে নওগাঁ জেলায় রোপা আমনের আবাদ লক্ষ্যমাত্রা ১ লাখ ৯৬ হাজার ৩শ  হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৬৫% জমিতে  ইতিমধ্যে চারা রোপণ সম্পন্ন হয়েছে। 

নিয়ামতপুর উপজেলার ছাতমা গ্রামের স্থানীয় কৃষক রশিদ হোসেন বলেন, “এই বছর বৃষ্টিপাত ও সেচের ব্যবস্থা ভালো থাকায় আমন ধান রোপণে কোনো সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়নি। আমরা আশা করছি, এ মৌসুমে ফলন ভালো হবে এবং আমরা লাভবান হব।”

শ্রমিক আমজাদ হোসেন বলেন, “আমরা প্রতিদিন সকালে এসে কাজ শুরু করি এবং বিকাল পর্যন্ত কাজ করি। বৃষ্টিপাত ও সেচের সুব্যবস্থা থাকায় মাটি খুব ভালোভাবে তৈরি হয়েছে, ফলে রোপণে কোনো সমস্যা হচ্ছে না। তবে এই মুহূর্তে বৃষ্টিপাত না হওয়ায় পানি সংকট আছে, সেচ ব্যবস্থা বেশি জরুরী বলে মনে করছি।”

কৃষক ও শ্রমিকদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় জেলার ১১টি উপজেলায়  আমন ধানের ভালো ফলন আশা করছে কৃষি বিভাগ। আবহাওয়া পরিবেশ অনুকুল থাকায় শ্রমিকদের কাজের সুযোগ বৃদ্ধির পাশাপাশি তাদের আর্থিক অবস্থাও উন্নত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

জেলা কৃষি উপপরিচালক আবুল কালাম আজাদ বলেন, “আমন ধান রোপণের জন্য কৃষকদের সব ধরনের পরামর্শ এবং সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই ৬৫ ভাগ জমিতে রোপা আমন চারা রোপন সম্পন্ন হয়েছে। সঠিকভাবে চাষাবাদ ও রোগবালাই প্রতিরোধের জন্য বিভিন্ন সময় কৃষক-কৃষাণীদের নিয়ে প্রশিক্ষণ ও কর্মশালা পরিচালনা করা হয়েছে, কৃষি উপ-সহকারীরা কৃষকদের কল্যাণে মাঠে দিনভর কাজ করে যাচ্ছে।”

তিনি আরও বলেন, “আমন ধান চাষে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করলে এবং সময়মতো সার ও সেচ প্রদান করলে ভালো ফলন পাওয়া সম্ভব। আমরা নিয়মিত কৃষকদের জমি পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দিচ্ছি। আমন ধান চাষে প্রযুক্তির ব্যবহারের দিকেও নজর দিচ্ছে কৃষি বিভাগ। আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে ধানের উৎপাদন বৃদ্ধি করা হচ্ছে। বিশেষ করে উন্নত মানের বীজ এবং সার ব্যবহার করে চাষাবাদ করা হচ্ছে, যা ফলন বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা রাখছে।”

তিনি বলেন, “আমন ধানের উৎপাদন ভালো হলে কৃষকদের আয় বাড়াবে এবং গ্রামীণ অর্থনীতি সমৃদ্ধ হবে। স্থানীয় বাজার ছাড়াও দেশের বিভিন্ন স্থানে ধান সরবরাহ করা হবে, যা দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সহায়ক হবে।”

কৃষকরা আশাবাদী যে, এ বছর তারা আমন ধান থেকে ভালো উৎপাদন পাবেন এবং এটি তাদের আর্থিক সচ্ছলতা নিশ্চিত করবে।

Link copied!