প্রেমিকের সঙ্গে কিশোরগঞ্জের ভৈরবে ঘুরতে বের হয়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক তরুণী। বৃহস্পতিবার (২৩ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার মেঘনা নদীর পাড়ের রেলওয়ে জোড়া সেতু সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে।
এ ঘটনায় রাতেই ভুক্তভোগী তরুণীর বাবা বাদী হয়ে ভৈরব থানায় মামলা করেন। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে আটজনকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তাররা হলেন প্রেমিক নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার পিরিজকান্দি গ্রামের মনিন্দ্র দাসের ছেলে পলাশ দাস (১৮), একই এলাকার সেন্টু মিয়ার ছেলে রাব্বি (১৯), ভৈরব শহরের বাসস্ট্যান্ড এলাকার সুমন মিয়ার ছেলে নির্জন ওরফে আরিয়ান (১৭), শহরের ভৈরবপুর দক্ষিণ পাড়া এলাকার সুজন মিয়ার ছেলে সান (১৭), একই এলাকার আংগুর মিয়ার ছেলে আবদুল্লাহ (১৮), শহরের কমলপুর এলাকার হাবিবুর রহমানের ছেলে পাপন (১৮), শহরের চন্ডিবের এলাকার মিলন মিয়ার ছেলে হাসান (১৭) এবং একই এলাকার আনাস মিয়ার ছেলে ফুয়াদ (১৯)।
পুলিশ জানায়, ভুক্তভোগী তরুণীর সঙ্গে পলাশের পরিচয় হয় ফেসবুকে। পরে তাদের মধ্য প্রেমের সর্ম্পক গড়ে ওঠে। বৃহস্পতিবার তারা প্রথমে ভৈরবের মানিকদি এলাকার একটি সেতু সংলগ্ন রেস্তোরাঁয় আসেন। পরে বিকেলের দিকে ভৈরব মেঘনা নদীর পাড়ে ঘুরতে যান। সন্ধ্যা ঘনিয়ে এলে নদীর পাড়ের একটি জঙ্গলের ঝোপে পলাশ দাস ওই তরুণীকে ধর্ষণ করেন।
ঘটনাটি দেখে ফেলেন ওই এলাকায় অবস্থানরত কয়েকজন ছিনতাইকারী। তারা দুজনকে আটক করে দুটি মোবাইলসহ টাকা-পয়সা ছিনিয়ে নেন। পরে তাদের একজন তরুণীকে ধর্ষণ করেন। এসময় তরুণীর চিৎকারে আশপাশের লোকজন জড়ো হন। পরে খবর পেয়ে পুলিশ এসে তরুণীসহ আটজনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। রাতেই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা করেন ভুক্তভোগীর বাবা।
এ বিষয়ে ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সফিকুর রহমান বলেন, আসামিদের আদালতে চালান দেওয়া হয়েছে। তরুণীর মেডিকেল রিপোর্ট পাওয়ার পর পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হয়।