• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ভোর থেকে বিস্ফোরণের শব্দ, কেঁপে উঠল টেকনাফ


কক্সবাজার প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৭, ২০২৪, ০১:১৫ পিএম
ভোর থেকে বিস্ফোরণের শব্দ, কেঁপে উঠল টেকনাফ

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মংডু শহরকে কেন্দ্র করে থামছে না বিস্ফোরণের বিকট শব্দ। এই বিকট শব্দে প্রতিনিয়ত কাঁপছে কক্সবাজারের টেকনাফের সীমান্ত এলাকা। 

ঘুমহীন রাত কাটাচ্ছেন টেকনাফ পৌর, সদর, সাবরাং ও শাহপরীর দ্বীপ এলাকার বাসিন্দারা। কাটছে না তাদের আতঙ্কও।

সীমান্ত এলাকার লোকজন জানিয়েছেন, শনিবার (৭ ডিসেম্বর) ভোর চারটা থেকে বেলা ১১টা পযর্ন্ত একের পর এক বিস্ফোরণের শব্দে কেঁপে ওঠে টেকনাফ। 

ওই সময় মিয়ানমারের আকাশে বিমানের চক্করও দেখা গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, মংডু শহর নিয়ন্ত্রণে নেওয়া আরাকান আর্মির অবস্থান লক্ষ্য করে বোমা বর্ষণ করা হচ্ছে বিমান থেকে। 

এর আগে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর থেকে শুক্রবার মধ্য রাত পযর্ন্ত টানা বিকট বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পেয়েছে সীমান্তের এপারে টেকনাফ পৌর, সদর, সাবরাং ও শাহপরীর দ্বীপের বাসিন্দারা।

সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মোহাম্মদ শরিফ ও শাহপরীর  দ্বীপ ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আব্দুস সালাম বলেন, বৃহস্পতিবার রাত থেকে বিকট বিস্ফোরণের শব্দে বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নূর হোসেন জানিয়েছেন, মিয়ানমারের মংডু শহরের দক্ষিণ পাশে গ্রামগুলো থেকে এ বিস্ফোরণের শব্দ ভেসে আসছে টেকনাফে। মর্টারশেল, শক্তিশালী গ্রেনেড  ও বোমার শব্দে এ পারের বসতবাড়ি কেঁপে উঠছে। সীমান্তের কোনো মানুষ রাতে ঘুমাতেও পারছেন না। বিস্ফোরণের শব্দ ভেসে আসার সময় মিয়ানমারের মংডু এলাকায় যুদ্ধবিমানের চক্কর দিতে দেখেছেন বাসিন্দারা।

তিনি বলেন, বিস্ফোরণের বিকট শব্দে সাবরাং এলাকার বাসিন্দাদের ঘরবাড়ি কেঁপে উঠছে। লোকজন শান্তিতে ঘুমাতে পারছে না। বিশেষ করে, শিশু ও বয়স্কদের নিয়ে খুবই বিপাকে পড়তে হচ্ছে।

সীমান্ত এলাকার লোকজনের দেওয়া তথ্যমতে, মংডু শহরের দক্ষিণে উকিলপাড়া, ফয়েজীপাড়া, সিকদারপাড়া, হারিপাড়া ও ফাতংজা এলাকায় ঘীরে এই তীব্র লড়াই চলছে। প্রায় এক বছরের বেশি সময় ধরে চলা এই যুদ্ধে রাখাইন রাজ্যের অধিকাংশ এলাকা এখন আরাকান আর্মির নিয়ন্ত্রণে। যেখানে মিয়ানমারের সরকারি বাহিনীর পক্ষে এখন আকাশযোগে হামলা করা হচ্ছে। আর স্থলে আরাকান আর্মির বিরুদ্ধে লাড়ইয়ে নেমেছে রোহিঙ্গাদের কয়েকটি সশস্ত্র গোষ্ঠীও।

স্বদেশ বিভাগের আরো খবর

Link copied!