দুর্নীতির মামলা থেকে বাঁচতে স্ত্রীকে বুটিক ব্যবসায়ী সাজিয়েও পার পেলেন না আবুল হাশেম নামের এক অবসরপ্রাপ্ত এক পুলিশ কর্মকর্তা। স্ত্রীর ব্যবসার টাকায় চট্টগ্রাম নগরের খুলশীতে চারতলা বাড়ি করেছেন দাবি করলেও স্ত্রীর ব্যবসার কোনো অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি।
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) বলছে, পুলিশের চাকরিতে থাকার সময় অসৎ উপায়ে অর্জিত অর্থ দিয়ে বাড়িটি করেছেন ওই পুলিশ কর্মকর্তা।
আবুল হাশেম ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ, চট্টগ্রামের সহকারী পরিচালক ছিলেন।
বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) দুপুরে আবুল হাশেম ও তার স্ত্রী তাহেরিনা বেগমের বিরুদ্ধে দুদক পৃথক দুটি মামলা করেছে।
দুদক চট্টগ্রামের উপপরিচালক আতিকুল আলম গণমাধ্যমকে বলেন, ৪ লাখ ৪৫ হাজার টাকার সম্পদের তথ্য গোপন এবং ১৮ লাখ ৬০ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে আবুল হাশেমের বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়েছে। আরেক মামলায় আবুল হাশেম ও তার স্ত্রী তাহেরিনা বেগমকে আসামি করা হয়েছে। এ মামলায় ৬ লাখ ৮৪ হাজার টাকার তথ্য গোপন এবং ৪৩ লাখ ৩২ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ করা হয়েছে এজাহারে।
দুদক চট্টগ্রামের সহকারী পরিচালক মোসাব্বির আহমেদ বাদী হয়ে মামলা দুটি করেন। তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে পাওয়া এ সম্পদের বাইরে আর কোনো সম্পদ আছে কি না, তদন্তে তা বেরিয়ে আসবে।
মুসাব্বির আহমেদ আরও বলেন, সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা আবুল হাশেম ২০১৫ সালে নগরের খুলশীর রূপসী হাউসিং সোসাইটি এলাকায় চারতলা বাড়ি নির্মাণ করেন। ওই সময় তার স্ত্রীর কোনো আয় ছিল না। স্ত্রীর আয় দিয়ে বাড়িটি নির্মাণ করিয়েছেন দেখানোর জন্য স্ত্রীকে বুটিক ব্যবসায়ী ও টিউশনি করিয়েছেন দাবি করেন। কিন্তু দুদকের তদন্তে স্ত্রীর বুটিক ব্যবসার কোনো অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। মূলত অসদুপায়ে অর্জিত অর্থ দিয়ে হাশেম বাড়িটি নির্মাণ করেন।
১৯৮৮ সালে উপপরিদর্শক (এসআই) হিসেবে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে যোগদান করেন রাউজানের আবুল হাশেম। ২০২২ সালে সহকারী পুলিশ সুপার (এসপি) পদে থাকাকালে তিনি চাকরি থেকে অবসরে যান।