নির্মাণাধীন পাবনার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের প্রথম ইউনিটের রিয়্যাক্টর বিল্ডিংয়ের ডিজাইন পজিশনে স্থাপিত হলো ভেন্টিলেশন স্ট্যাক।
মঙ্গলবার (১ আগস্ট) এই কাজ সম্পন্ন হয়। এর মূল কাজ হলো রিয়্যাক্টর কমপার্টমেন্ট থেকে অতিরিক্ত তাপ ও আর্দ্রতা অপসারণ করা।
অত্যন্ত জটিল এই কাজটি করতে সময় লেগেছে আট ঘণ্টা এবং ব্যবহার করা হয়েছে শক্তিশালী ক্রেন। ভেন্টিলেশন স্ট্যাকের দৈর্ঘ্য ৬৭ মিটার এবং ওজন ১০০ টন।
রূপপুর এনপিপি নির্মাণ প্রকল্পের পরিচালক আলেক্সি দেইরি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ভেন্টিলেশন স্ট্যাকটি স্থাপনের পরে রিয়্যাক্টর বিল্ডিংয়ের এলিভেশন দাঁড়িয়েছে +৯৯.৫০০। লাইটিং রড এরেস্টারকে বিবেচনায় নিলে এর এলিভেশন হবে +১০১.০০০। ১৭৫ মিটার উচ্চতা বিশিষ্ট কুলিং টাওয়ারের পর এটিই প্রকল্পের সর্বোচ্চ স্থাপনা।
দেইরি আরও জানান, ইউনিট-১ এ বর্তমানে বড় মাপের বেশ কিছু ইকুইপমেন্টের স্থাপনার কাজ চলছে। চলতি আগস্ট মাসে রিয়্যাক্টর বিল্ডিংয়ের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা ব্যবস্থা- স্বয়ংক্রিয় তাপ অপসারণ ব্যবস্থার বিভিন্ন এলিমেন্ট স্থাপন করা হবে।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের জেনারেল ডিজাইনার ও কন্টাক্টর রাশিয়ার রসাটম করপোরেশনের প্রকৌশল শাখা। প্রকল্পটিতে দুটি ইউনিট স্থাপিত হবে। প্রতিটির উৎপাদন ক্ষমতা ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াট। প্রতিটি ইউনিটে থাকছে ৩+ প্রজন্মের রুশ ভিভিইআর রিয়্যাক্টর, যেগুলো সকল আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা চাহিদা পূরণে সক্ষম।
আগামী সেপ্টেম্বর মাসের শেষ দিকে রাশিয়া থেকে প্রথম ইউনিটের জন্য ফ্রেশ পারমাণবিক জ্বালানি বাংলাদেশে এসে পৌঁছাবে বলে আশা করা যাচ্ছে।