নড়াইলে ধানক্ষেতে বাংলদেশ বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান জরুরি অবতরণ করেছে। বিমানটির দুই পাইলটই অক্ষত আছেন। অবতরণের পর পরই বিমানবাহিনীর একটি হেলিকপ্টার এসে তাঁদের উদ্ধার করে যশোর নিয়ে যায়।
বুধবার (৩ এপ্রিল) দুপুর ২টা ৫৪ মিনিটে সদর উপজেলার মাইজপাড়া ইউনিয়নের তারাশি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এর আগে, যশোর বিমানবন্দর থেকে ১টা ৩৪ মিনিটে বিমানটি উড্ডয়ন করে।
স্থানীয়দের থেকে জানা যায়, দুপুর আড়াইটার দিকে তারাশি গ্রামের ওপর দিয়ে বিমানটি উড়ছিল। এক পর্যায়ে বিমানটি অনেক নিচে চলে আসায় এলাকাবাসী আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। কয়েক দফা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে পাশে একটি ধানক্ষেতের আইলে আটকে থেমে যায় বিমানটি।
এর পর-পরই একটি হেলিকপ্টার এসে বিমানে থাকা দুই পাইলটকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। বিমানটি হালকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী তারাশি গ্রামের ইয়াকুব মোল্যা জানান, বিমানটি ধানক্ষেতের ওপর আছড়ে পড়লে ভেতর থেকে দুজন পাইলট বেরিয়ে আসেন। তাঁরা খুব ভিত ছিলেন। তারা খাওয়ার পানি চাইলে তাদের পানি দেওয়া হয়। এর একটু পর একটি হেলিকপ্টার এসে তাঁদের নিয়ে যায়।
ঘটনাস্থলে বিমানবাহিনীর প্রভোষ্ট টিমের একটি দল এসে ঘটনার কারন অনুসন্ধান করছে। তবে তারাএ বিষয়ে কিছু বলতে রাজি হননি। এ ছাড়া বিকেলে বিমানবাহিনীর একটি টেকনিক্যাল টিম এসে বিমানটি খুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।
নড়াইল ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন ম্যানেজার মাসুদ রানা জানান, ইঞ্জিনের যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ধানক্ষেতে বিমানটি জরুরি অবতরণ করে। পরে বিমানবাহিনীর একটি হেলিকপ্টার এসে দুই পাইলটকে নিয়ে যায়। তারা হলেন স্কোয়াড্রন লিডার নাদিম ও স্কোয়াড্রন লিডার মাহফুজ।
এ বিষয়ে নড়াইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত-ওসি) মো. সাজেদুল ইসলাম বলেন, ‘মাইজপাড়া ইউনিয়নের তারাশি মধ্যপাড়ায় বিলে ধানক্ষেতে একটি বিমান অবতরণ করে। বিমানে স্কোয়াড্রন লিডার মাহফুজ, স্কোয়াড্রন লিডার নাদিম বিমানটি পরিচালনার দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন। তাদের অক্ষত অবস্থায় হেলিকপ্টার যোগে যশোর বিমানবাহিনীর ঘাঁটিতে নিয়ে যাওয়া হয়। এ ঘটনায় কারো কোনো ধরনের ক্ষতি হয়নি বলেও জানান তিনি।’
এ বিষয়ে ঘটনাস্থালে উপস্থিত বিমান বাহিনীর সদস্যদের সাথে কথা বলতে চাইলে তারা এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ ছাড়া কোনো প্রকার বক্তব্য দিতে অস্বীকৃতি জানান।