মাঘ মাস শেষ না হতেই নওগাঁর আত্রাইয়ে বাজারে দেখা মিলছে তরমুজের। আগাম জাতের গ্রীষ্মকালীন তরমুজ বাজারে এলেও ক্রেতা কম বলছেন ব্যবসায়ীরা।
ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গ্রীষ্মকালীন তরমুজ এখনো তেমন বাজারে আসেনি। দেশের পটুয়াখালী, বরিশাল জেলায় এই আগাম জাতের তরমুজ চাষ হয়ে থাকে।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার সাহেবগঞ্জ বাজার, স্টেশন বাজার, নতুন বাজার, আহসানগঞ্জ হাট এলাকায় আগাম জাতের তরমুজ বিক্রি করছে। প্রতি কেজি তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ৬০-৬৫ টাকা কেজি দামে।
বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে সাহেবগঞ্জ বাজারে তরমুজের দোকানে তরমুজ কিনতে আসা আক্কাস আলী বলেন, “আগে গ্রীষ্মকালে তরমুজ পাওয়া যেত। এখন গ্রীষ্মকালের অনেক আগেই বাজারে তরমুজ পাওয়া যায়। আবার শোনাও যায় এখন নাকি তরমুজ বারোমাসি আবাদ হচ্ছে। আমিও একটি তরমুজ কিনলাম।”
আরেক ক্রেতা আতিক হোসেন বলেন, “বাজারে এ বছরের নতুন তরমুজ দেখে কিনতে এলাম। তবে দাম বেশি হওয়ার কারণে আমি কিনতে পারিনি। সামনে রমজান মাস আসছে, তরমুজ কিনে খেতে পারব কিনা জানি না।”
বিক্রেতা সিরাজ শেখ বলেন, “অন্য বছরের চেয়ে অনেক আগেই এবার বাজারে তরমুজ এসেছে। আগাম জাতের তরমুজ পটুয়াখালী, বরিশালসহ দক্ষিণাঞ্চলে চাষ করেন অনেকে। আমরাও লাভের আশায় পাইকারি কিনে খুচরা বিক্রি করছি। তবে এখনো শীত থাকায় বিক্রি একটু কম হচ্ছে। গরম পড়লে তরমুজ বিক্রি বৃদ্ধি পাবে।”
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রসেনজিৎ তালুকদার বলেন, “উত্তর অঞ্চলের দিকে তরমুজের আবাদ নেই বললেই চলে। তবে দক্ষিণাঞ্চলের দিকে তরমুজের আবার অনেক বেশি হয়ে থাকে। এখন যে তরমুজ বাজারে পাওয়া যাচ্ছে এটি আগাম জাতের তরমুজ।”
