শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে একটি পতিত জমিতে সন্দেহজনক একটি গর্তের সন্ধান পান স্থানীয় কৃষকরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। সেই সঙ্গে ভিড় করে উৎসুক শতশত মানুষ। কী লুকানো আছে গর্তে, তা নিয়ে শুরু হয় জল্পনা-কল্পনা। সবার সন্দেহ, গর্তে লুকানো আছে নিষিদ্ধ মাদক বা গুম করা লাশ। সন্দেহ যাচাইয়ে শুরু হয় মাটি খোঁড়াখুঁড়ি।
মঙ্গলবার (১৭ মার্চ) সকালে উপজেলার নলকুড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য আব্দুল খালেকের পতিত জমিতে এ ঘটনা ঘটে। পরে সন্দেহ যাচাইয়ের জন্য গর্ত খুঁড়তে নিয়োগ দেওয়া হয় শ্রমিক। খোঁড়াখুঁড়ি ঘিরে ভিড় করে শত শত মানুষ।
স্থানীয়রা জানান, সকালে কয়েকজন কৃষক ক্ষেতে কাজ করার সময় পাশেই আব্দুল খালেকের পতিত জমিতে একটি গর্ত দেখতে পান। কাছে গিয়ে গর্তে কিছু একটা দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেন তারা। ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে শুরু করে অনুসন্ধান। পরে পুলিশের উপস্থিতিতে দুইজন শ্রমিক দিয়ে গর্ত খোঁড়ার কাজ শুরু হয়।
এদিকে, ঘটনাটি লোকমুখে ছড়িয়ে পড়লে বিভিন্ন জায়গা থেকে ঘটনাস্থলে আসতে থাকে মানুষ। জনতার ভিড় সামলাতে রীতিমতো হিমশিম খায় পুলিশ।
পুলিশ জানায়, প্রায় তিন ঘণ্টায় ছয় ফুট গভীর গর্ত খোঁড়ার পর সেখান থেকে উদ্ধার করা হয় পাঁচ ফুট উচ্চতার একটি বাঁশ। পরে পুলিশ গর্ত খোঁড়া বন্ধ করে দেয়।
ঝিনাইগাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বছির আহম্মেদ বাদল বলেন, ওই গর্তে কোনো লাশ বা মাদক থাকতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে সন্দেহ করা হয়। তাই গর্ত খোঁড়া হয়। কিন্তু সেখানে তেমন কিছু পাওয়া যায়নি একটা বাঁশ ছাড়া। পরে খোঁড়া গর্তটি বন্ধ করার নির্দেশ দিয়ে বাঁশটি থানায় নিয়ে আসা হয়।