চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে শিব মন্দিরে দায়িত্বরত পুলিশ ও আনসার সদস্যদের সঙ্গে অসদাচরণের অভিযোগে মনির হোসেন (৪২) নামের এক যুবককে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে কারাদণ্ড ও জরিমানা করা হয়েছে। এ সময় দুজনকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৮টার দিক উপজেলার পাথিলা শিব মন্দিরের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নারায়ন চন্দ্র পাল।
মনির হোসেনকে ১৫ দিনের বিনাশ্রমে কারাদণ্ড ও ১০০ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। আর হাফিজুর রহমান (৪৬) ও মন্জুর (৪৮) নামের দুজনকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
দণ্ডপ্রাপ্ত মনির হোসেন ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলার কুসুমপুর গ্রামের আসাদুল ইসলামের ছেলে।
পুলিশ জানায়, হাফিজুর রহমান, মনির হোসেন ও মন্জুর মদ্যপান অবস্থায় একটি ইজিবাইকে পাথিলা নারকেল বাগানের কাছে শিব মন্দিরের সামনের রাস্তায় মাতলামি করছিলেন। তখন মন্দিরে দায়িত্বরত পুলিশ ও আনসার সদস্য তাদের নিষেধ করলে তারা অসদাচরণ করেন।
পরে বিষয়টি তারা থানা ও দায়িত্বে থাকা বিজিবি সদস্যদের জানালে তাৎক্ষণিকভাবে থানা-পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা ইউএনও নারায়ন চন্দ্র পালসহ ঘটনাস্থলে আসেন। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে তিনজনের মধ্য মনির হোসেনকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৮ এর ৩৬ (৫) ধারায় ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ১০০ টাকা অর্থদণ্ড দেন। আর হাফিজুর ও মঞ্জুরকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
ইউএনও নারায়ন চন্দ্র পাল বলেন, মাদকদ্রব্য সেবনের অপরাধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে একজনকে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ১০০ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে। আর অপর দুজনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।