• ঢাকা
  • বুধবার, ০২ এপ্রিল, ২০২৫, ১৮ চৈত্র ১৪৩০, ২ শাওয়াল ১৪৪৬

রাস্তায় মা-মেয়েকে পেটালেন মাদক কারবারিরা, থানায় গেলে এসআই ‘কেড়ে নেন’ ৩০০০ টাকা


বগুড়া প্রতিনিধি
প্রকাশিত: মার্চ ১৮, ২০২৫, ০২:২৯ পিএম
রাস্তায় মা-মেয়েকে পেটালেন মাদক কারবারিরা, থানায় গেলে এসআই ‘কেড়ে নেন’ ৩০০০ টাকা
এসআই জাহিদ হাসান

মামলা করতে যাওয়া এক নারীর কাছ থেকে টাকা কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বগুড়া সদর থানার উপপরিদর্শকের (এসআই) বিরুদ্ধে। পরে অবশ্য ওই টাকা ফেরত দিয়েছেন তিনি। ওই এসআইয়ের নাম জাহিদ হাসান।

সোমবার (১৭ মার্চ) বেলা ৩টার দিকে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) হস্তক্ষেপে ওই নারী তার তিন হাজার টাকা ফেরত পান এবং মামলাটি থানায় রেকর্ডভুক্ত করা হয় বলে জানা গেছে।

মামলার বাদী আফছানা জাহান বিষয়টি জানিয়েছেন। তিনি বগুড়া শহরের হাড্ডি পট্টি এলাকার আরিফুল ইসলামের মেয়ে।

আফছানা জানান, ১১ মার্চ সকাল সাড়ে ৯টার দিকে শহরের হাড্ডি পট্টি এলাকায় মাদক বিক্রি করতে নিষেধ করায় তার মা শাহানা পারভিনকে মারধর করে একদল মাদক কারবারি। এ সময় ছোট বোন আরিফা রিকশায় ওই পথে অফিসে যাওয়ার সময় তার মাকে মারধর করতে দেখে উদ্ধার করতে গেলে তাকেও মারধর করা হয়। পরে স্থানীয় বাসিন্দারা দুজনকে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে তারা চিকিৎসাধীন থাকায় তিনি রোববার বেলা ৩টার দিকে মামলা করতে বগুড়া সদর থানায় যান।

আফছানা জাহান বলেন, থানার ডিউটি অফিসার এসআই জাহিদ মামলার খরচ বাবদ ১০ হাজার টাকা দাবি করেন। এত টাকা নেই বলার একপর্যায় হাতে থাকা তিন হাজার টাকা কেড়ে নিয়ে আরও সাত হাজার টাকা নিয়ে আসতে বলেন তিনি।

আফছানা জানান, ওই দিন সন্ধ্যা পর্যন্ত থানায় বসে থেকে বাড়ি ফিরে যান তিনি। মামলা রেকর্ড না হওয়ায় পরদিন সোমবার দুপুরে বিষয়টি থানার ওসিকে জানান। পরে ওসির হস্তক্ষেপে তিন হাজার টাকা ফেরত দেন এসআই জাহিদ।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে এসআই জাহিদ হাসান বলেন, টাকার বিষয়টি বাদীর সঙ্গে মিটমাট হয়ে গেছে। মামলা লেখায় ভুলত্রুটি থাকায় গতকাল মামলা রেকর্ড হয়নি। আজ থানার কম্পিউটারে নতুন করে মামলা ড্রাফট করা হয়েছে।

বগুড়া সদর থানার ওসি এস এম মঈনুদ্দিন বলেন, ‘টাকা কেড়ে নেওয়ার বিষয়টি আমার জানা ছিল না। আজকে বাদী আমাকে জানানোর পর টাকা ফেরত পেয়েছে বলে শুনেছি।’ তিনি বলেন, এ ঘটনায় মাদক কারবারি আশিক, তাঁর স্ত্রী শাপলাসহ ১০ ব্যক্তির নামে থানায় মামলা রেকর্ড করা হয়েছে।

Link copied!