তুরাগ তীরে তাবলিগ জামাতের প্রথম পর্বের আখেরি মোনাজাত চলছিল। হঠাৎ বিকট শব্দ। এ সময় গাজীপুরের টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে ড্রোন আতঙ্কে মুসল্লিদের ছোটাছুটিতে প্রায় ৪১ জন আহত হয়েছেন।
রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ব ইজতেমায় আখেরি মোনাজাত চলার সময় সকাল ৯টা ২৫ মিনিটের দিকে ইজতেমা ময়দানের ২নং গেটের সামনে মোনাজাতের চিত্র ধারণ কাজে ব্যবহৃত একটি ড্রোন মাটিতে পড়ে যায়। এ সময় বিকট শব্দে মুসল্লিরা আতঙ্কিত হয়ে ছোটাছুটি করতে থাকেন। এই ছোটাছুটিতে প্রায় ৪০ জন মুসল্লি আহত হলে তাদের টঙ্গী আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
টঙ্গী আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ইনচার্জ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আহত মুসল্লিরা হাসপাতালে এসেছেন। তাদের চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তারা ইজতেমার মোনাজাত চলাকালে আতঙ্কে হুড়োহুড়ি করার সময় পড়ে গিয়ে আহত হয়েছেন।
আহত ব্যক্তিরা হলেন আবুল কালাম (৫৫), আলামিন (৩২), আজাদ (৩০), ওবায়দুল্লাহ (৩২), রাতুল (১৮), আব্দুল করিম (২৮) সাইফুল ইসলাম (৩৮), জাফর উদ্দিন (৩১) জয়নাল (২৪), মকবুল হোসেন (৬৪) সোহাগ (৬০), মোশারফ (৩০), কোরবান আলী (২৫), সাইফুল ইসলাম (৩৫), সালামত (১৮), মুস্তাকিন (৩৩), কবির হোসেন (৩০), মুবিন (১৮), আয়নাল হক (২২), মামুন হোসেন (২১), মো. বাসেদ (১৩), খোকন (৪৩), জুয়েল (২৫), কবির হোসেন (৪৬), নাজিম উদ্দিন (৪১), জবরুল (৩১), জয়নাল (৫৪), কাওছারুল আলম (২৮), রায়হান (২৭), জহরুল (২৮), আলি নেওয়াজ (৩৮), আফতাব উদ্দিন (৪৭) মো. আমান (২৮), আনোয়ার (৪৫), সোহেল (৩৫), ফজল হক (৪৫) ও মুজাফফর আলীসহ (৪৪) অন্তত অর্ধশতাধিক ব্যক্তি। এর মধ্যে ৪১ জন টঙ্গীর শহিদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
জানা গেছে, তাবলিগ জামাতের মাওলানা মোহাম্মদ জুবায়ের বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করছিলেন। মোনাজাতের শেষের দিকে কয়েক মিনিট আগে ইজতেমা ময়দানের ২নং গেটের একটু সামনে মোনাজাতের চিত্র ধারণ করার কাজে ব্যবহৃত একটি ড্রোন মাটিতে আছড়ে পড়ে। এ সময় টিনের সঙ্গে আঘাত লেগে বিকট শব্দের সৃষ্টি হয়। এতে আতঙ্কিত হয়ে ওই স্থানে থাকা মুসল্লিরা ছোটাছুটি করতে থাকেন। পরে উপস্থিত মুসল্লিরা শব্দের উৎপত্তিস্থল খুঁজতে গিয়ে ওই ড্রোনটির সন্ধান পান।
টঙ্গী পূর্ব থানার ওসি মো. ফরিদুল ইসলাম বলেন, একটি ড্রোন আকাশে উড়ছিল সম্ভবত ড্রোনটির চার্জ শেষ হয়ে যাওয়ায় সেটি ২নং গেটের একটু সামনে এলাকায় আছড়ে পড়ে। মুসল্লিরা অনেকেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।