• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অটোরিকশা চালিয়ে নিতেন খোঁজ, পরে করতেন ডাকাতি


নোয়াখালী প্রতিনিধি
প্রকাশিত: জুলাই ৫, ২০২৪, ০৫:৩৬ পিএম
অটোরিকশা চালিয়ে নিতেন খোঁজ, পরে করতেন ডাকাতি
অস্ত্রসহ ৭ ডাকাত গ্রেপ্তার। ছবি : প্রতিনিধি

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায় চুরি যাওয়া মালামালসহ সাতজন ডাকাত ও তাদের সহযোগী এক অসাধু ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।  

শুক্রবার (৫ জুলাই) বিকেলে আসামিদের নোয়াখালী চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হয়।

এর আগে বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) রাতে উপজেলার মীরওয়ারিশপুর ইউনিয়নের লালপুর এলাকা থেকে স্থানীয়দের সহায়তায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে একটি এলজি, একটি পাইপগান, দুইটি কিরিচ, তিনটি ছোরা, একটি গ্রিল কাটার, একটি শাবল এবং ডাকাতির সময় চুরি যাওয়া চার ভরি ১১ আনা স্বর্ণ জব্দ করে পুলিশ।

গ্রেপ্তাররা হলেন সুধারাম থানার আণ্ডারচর ইউনিয়নের ডাকাত সর্দার মো. কামাল (৪৩), লক্ষীপুরের রামগতি থানার সবুজ গ্রামের মো. শামীম (২২), রামগতি থানার সুজন গ্রামের মো. রায়হান (২৮), ভোলা জেলার ফুলকেইচ্যা গ্রামের মো. মিরাজ (২২), লক্ষ্মীপুরের কমলনগর থানার নবীগঞ্জ বাজার এলাকার মো. শরীফ (২৭), লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চর মনসা গ্রামের মো. হেলাল উদ্দিন (২১), লক্ষ্মীপুরের কমলনগর থানার ইসলামগঞ্জ এলাকার মো. সালাউদ্দিন সবুজ (২৬) এবং একই থানার চরজগবন্ধু গ্রামের শ্রাবণ স্বর্ণ শিল্পালয়ের স্বত্বাধিকারী মো. হাসান ওরেফ রিপন (৩০)।  

পুলিশ জানায়, বেগমগঞ্জ উপজেলায় কিছু ডাকাতির ঘটনায় ডাকাত সর্দার কামালের নাম উঠে আসে। পরে তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে তার অবস্থান নিশ্চিত করে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ডাকাত কামাল ও তার সহযোগী শামীম, রায়হান, মিরাজ, শরীফ, হেলাল উদ্দিন, সালা উদ্দিন ও হাসানকে গ্রেপ্তার করা হয়। ডাকাত কামালের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় হত্যা, ডাকাতি, চুরিসহ ১৬টি মামলা রয়েছে।  

পুলিশ আরও জানায়, গ্রেপ্তার ডাকাত রায়হান চৌমুহনী এলাকায় অটোরিকশা চালাতেন। অটোরিকশা চালানোর পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন এলাকার বাড়িঘর রেকি করে সেগুলোর বিশদ তথ্য সংগ্রহ করে দলনেতা কামালের নিকট পাঠান। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে টার্গেট করা বাড়িতে ডাকাতি করতেন কামালের দল। এ ডাকাতিতে অটোরিকশাচালক রায়হান সরাসরি অংশগ্রহণ করতেন। চুরি করা স্বর্ণ তারা লক্ষ্মীপুরের কমলনগর থানার রিপন স্বর্ণকারের কাছে বিক্রয় করতেন। কামালের ভাষ্যমতে মালামাল কেনাবেচার সঙ্গে জড়িত রিপন স্বর্ণকারকে গ্রেপ্তার করে ডাকাতির সময় লুণ্ঠিত চার ভরি ১১ আনা স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়।

বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, আসামিদের বিরুদ্ধে ডাকাতি ও অস্ত্র আইনে মামলা করা হয়েছে। বিকেলে তাদের ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

Link copied!