• ঢাকা
  • রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১, ৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৫

যাত্রীবেশে চালককে হত্যা করে রিকশা ছিনতাই, গ্রেপ্তার ৪


নরসিংদী প্রতিনিধি
প্রকাশিত: জুলাই ১১, ২০২৪, ০২:৩০ পিএম
যাত্রীবেশে চালককে হত্যা করে রিকশা ছিনতাই, গ্রেপ্তার ৪

নরসিংদীর মাধবদীতে মো. নুরুল ইসলাম (৫০) নামের এক চালককে হত্যা করে অটোরিকশা ছিনতাইয়ের ঘটনার ২৬ দিন পর চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় ছিনতাই করা অটোরিকশার দুটি ব্যাটারিসহ বিভিন্ন মালামাল উদ্ধার করা হয়।

বৃহস্পতিবার(১১ জুলাই) সকালে নরসিংদীর পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান।

নিহত মো. নুরুল ইসলাম মাধবদী থানার ভাটপাড়া গ্রামের মৃত কাসেম আলীর ছেলে।

গ্রেপ্তাররা হলেন মাধবদী থানার বাসিন্দা বাচ্চু মিয়া (২৭),  সোহেল মিয়া (৩২),  হৃদয় (২৭) ও নবী হোসেন (৩৫)।

তারা ১৬৪ ধারায় নিজেদের দোষ স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেন। বর্তমানে তারা জেলহাজতে রয়েছেন।

সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার জানান, ১৫ জুন মাধবদী থানার ভাটপাড়ার বাসিন্দা মো. নুরুল ইসলাম তার ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা নিয়ে তার বাড়ি থেকে বের হন। ওই দিন রাত সাড়ে আটটার দিকে নুরুল ইসলাম তার ভাইকে মোবাইল ফোনে জানায় তার রিকশাটি অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা তার কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। 

খবর পেয়ে তার আত্মীয়স্বজন খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে পরদিন সকালে নরসিংদী শহরের নতুন বাসস্ট্যান্ড থেকে মদনপুরগামী রাস্তার মাধবদী থানার দামের ভাওলা এলাকার একটি বড়ই গাছের সঙ্গে গামছা দিয়ে বাঁধা অবস্থায় নুরুল ইসলামের মরদেহ পাওয়া যায়। 

এ ঘটনায় নুরুল ইসলামের স্ত্রী শিউলি বেগম অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে মাধবদী থানায় হত্যা মামলা করেন। পরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল কে এম শহিদুল ইসলাম সোহাগের তত্ত্বাবধানে মাধবদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ কামরুজ্জামানের নেতৃত্বে তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মো. রিয়াজ উদ্দিন রনিসহ মাধবদী থানা পুলিশ জড়িত আসামিদের সনাক্তকরণ, ছিনতাই রিকশা উদ্ধারে অভিযান শুরু করেন।

অভিযানের একপর্যায়ে মঙ্গলবার (৯ জুলাই) মাধবদী থানার একটি দল হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত বাচ্চু মিয়াকে (২৭) মাধবদী থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে। তার দেওয়া তথ্যমতে অভিযান পরিচালনা করে নরসিংদী ও নারায়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে একই দিনে ঘটনার সঙ্গে জড়িত সহযোগী হৃদয়, সোহেল এবং নবী হোসেনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তারা নুরুল ইসলাম হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন। 

তারা জানান, ১৫ জুন রাত আটটার দিকে নরসিংদী শহরের সাহেপ্রতাব থেকে বাচ্চু মিয়া, হৃদয় এবং সোহেল চালক মো. নুরুল ইসলামের ব্যাটারিচালিত রিকশায় যাত্রী হিসেবে ওঠে। রিকশায় ঘোরাঘুরির এক পর্যায়ে ঘটনাস্থলে আসার পর আসামিরা মো. নুরুল ইসলামকে বরই গাছের সঙ্গে পায়ে, পেটে এবং গলায় গামছা দিয়ে শক্তভাবে বেঁধে হত্যা করেন। এরপর তার ব্যাটারিচালিত রিকশাটি ছিনিয়ে নিয়ে যান। 

এরপর তারা ৩ জন রিকশাটি নিয়ে নবী হোসেনের কাছে ১৫ হাজার টাকায় বিক্রি করে সেই টাকা নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করেন। নবী হোসেন রিকশাটি কেনার সঙ্গে সঙ্গে এর কিছু যন্ত্রাংশ আলাদা আলাদা খুলে বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করেন। গ্রেপ্তারের পর নবী হোসেনের বাড়ি থেকে ছিনতাই রিকশার দুটি ব্যাটারি, একটি চাকা এবং একটি হেডলাইট সংযুক্ত মিটার বক্স উদ্ধার করে পুলিশ।

Link copied!