একটি হারাম ভোটও চান না বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী। কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশে তিনি বলেছেন, “দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গত দুই মাস ধরে আমি কালিহাতীর মানুষের ভালোবাসার আওয়াজটা জানার চেষ্টা করেছি। মানুষের ভালোবাসা পুঁজি করে আমি নির্বাচনে এসেছি। ট্রাকগাড়ি প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছি। আগামী ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে মানুষের ভালোবাসাই আমাকে বিজয়ী করবে।”
বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে কালিহাতী উপজেলা সদরে নিজ বাসভবনে আয়োজিত কর্মী সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
লতিফ সিদ্দিকী বলেন, “নির্বাচনে আমি কোনোদিন দাঙ্গাহাঙ্গামা বরদাস্ত করিনি, এখনো করব না। কোনো প্রকার জালভোট, পেশিশক্তির ব্যবহার করে কেন্দ্র দখলের মাধ্যমে ভোট আদায়, অর্থ দিয়ে ভোটার প্রলুব্ধ করে ভোট আদায় ইত্যাদি অপকৌশলকে আমি ঘৃণা করি। নির্বাচনে এ ধরনের একটি হারাম ভোটও আমি চাই না।”
টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসনের পাঁচ বারের সাবেক এই এমপি বলেন, “প্রতিটি গ্রামে-ওয়ার্ডে নির্বাচন পরিচালনা কমিটি গঠন করতে হবে। একইসঙ্গে কেন্দ্র কমিটিও করতে হবে। কেন্দ্রের পোলিং এজেন্ট হিসেবে নিজেদের লোককে মনোনীত করতে হবে। প্রত্যেককে একেকজন ‘লতিফ সিদ্দিকী’ হয়ে মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট চাইতে হবে। ভোটারদের নিরাপদ ও নির্বিঘ্নে ভোট দিতে প্রশাসনের পাশাপাশি সবাইকে সহযোগিতা করতে হবে।”
লতিফ সিদ্দিকী বলেন, “এবারের নির্বাচনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ‘কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিত’ করা। ভোটারদের কেন্দ্রে নির্বিঘ্নে যাতায়াত ও নিরাপত্তার বিষয়ে আশ্বস্ত করতে হবে।”
লতিফ সিদ্দিকী আরও বলেন, “কোনো প্রকার জাল-জালিয়াতি নয়। অর্থের প্রলোভন নয়। পেশিশক্তির বাহাদুরি নয়। ভোটাররা নির্বিঘ্ন ও স্বাধীনভাবে ভোট দিয়ে তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করবে। এ বিষয়ে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।”