গানে গানে নির্বাচনী প্রচার করে ভোট চাইছেন কণ্ঠশিল্পী ডলি সায়ন্তনী। পাবনা-২ (সুজানগর-আমিনপুর) আসন থেকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের (বিএনএম) প্রার্থী হয়ে তিনি নির্বাচন করছেন।
গানভক্ত, অনুরাগী, ভোটারসহ সাধারণ মানুষের অনুরোধে গাইছেন খালি গলায় হ্যান্ড মাইকে আলোচিত গানের অংশ বিশেষ। যাচ্ছেন ভোটারদের বাড়ি, পাড়া মহল্লা, অফিস ও হাটবাজারগুলোতে। চাইছেন ভোট, দিচ্ছেন পরিবর্তনের নানা প্রতিশ্রুতি।
নির্বাচনী এলাকার ১৫টি ইউনিয়নের মধ্যে অধিকাংশ ইউনিয়নের পাড়া মহল্লায় ভোটারদের সঙ্গে দেখা সাক্ষাত, গণসংযোগ ও মতবিনিময় করছেন তিনি। গত কয়েকদিন ডলি সায়ন্তনী তার অনুসারীদের সঙ্গে নিয়ে আমিনপুর, বেলতলা, রানীনগর, বাঘলপুর, ভাটিকয়া, রুপপুর, বাধেরহাট, দুলাই, চরদুলাই, চিনাখড়া, চর চিনাখড়া, তাতিবন্দ, মানিকহাট, ঢালারচর, সুজানগরসহ বিভিন্ন এলাকায় প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন।
রোববার (২৪ ডিসেম্বর) তিনি সারা দিন আমিনপুর, কাজিরহাট, বাধেরহাটসহ কয়েকটি এলাকায় গণসংযোগ করেন।
আমিনপুর থানার বাধেরহাটের মৎস্য ব্যবসায়ী আব্দুল হান্নান বলেন, “ছোট থেকে আমি ডলির গানের ভক্ত। টিকিট কেটে স্বশরীরে দেখতে পারিনি। আজ সে নিজেই আমাদের কাছে আসছে। সরাসরি গান শোনাচ্ছে। খুব ভালো লাগছে।”
চায়ের দোকানদার রহমত আলী, মুদি দোকানী সালাম, ভুষি ব্যবসায়ী রহমান মিয়া, হোটেল ব্যবসায়ী সোহেল, ভ্যানচালক ওমর ফারুক বলেন, “বেটির দম আছে। নতুম দল হলেও তার জগৎখ্যাতির কারণেই সবাই তাকে চিনছে।”
সাধারণ ভোটাররা বলছেন, “ভোট দিব কিনা সেটা পরের বিষয়। তিনি আমাদের মাঝে এসেছেন এটাই আমাদের অনেক প্রাপ্তি।”
বাধেরহাটে প্রচার-প্রচারণা ও গণসংযোগ শেষে এক পথসভায় ডলি সায়ন্তনী বলেন, “আমি এ এলাকার সন্তান। আমি এলাকায় এসে মানুষের ভালোবাসায় আবেগ আপ্লুত হয়ে গেছি।”
তিনি বলেন, “আমি নির্বাচনী মাঠে এসে সার্বিক প্রেক্ষাপটে প্রশাসনের কাছে নিরাপত্তা চেয়ে আবেদন করেছিলাম। প্রশাসনের যথেষ্ট সাড়া পেয়েছি। আমি ভয়হীনভাবে আমার শক্তি জনগণকে পেয়েছি প্রতিটা জায়গায়। নির্বাচনে কোনো বাধা নেই প্রতিপক্ষের।”
উন্নয়নের প্রতিশ্রুতির বিষয়ে তিনি বলেন, “এলাকায় আসার পর দেখলাম অনেক কাজ বাকি। যোগ্য জনপ্রতিনিধির অভাবে এলাকা অবহেলিত। আমি নির্বাচিত হলে ঢাকার সঙ্গে সহজ যোগাযোগের জন্য সেতু নির্মাণ, এলাকার মানুষের কর্মসংস্থান, অবকাঠামোগত উন্নয়নসহ সার্বিক পরিস্থিতির পরিবর্তন করব।”
৭ জানুয়ারি নির্ভয়ে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে নোঙর মার্কায় ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “নির্বাচনী মাঠ যথেষ্ট ভালো। আপনার দলে দলে কেন্দ্রে যাবেন বাধাহীনভাবে। রাজনীতিতে নতুন, দলও নতুন। মূলত নিজের এলাকা। মানুষজন স্বতঃস্ফূর্তভাবে আমাকে গ্রহণ করায় আমি শঙ্কা, চিন্তা ও ভীতিমুক্ত মনে করছি।”
বিভিন্ন স্থানে ভোটার, অনুসারী ও ভক্তরা গান গাইতে বলছেন জানিয়ে ডলি সায়ন্তনী বলেন, “আমি একজন শিল্পী। আমাকে মানুষ চান। ভালোবাসেন। সেই প্রমান পাচ্ছি। গান শুনতে চাওয়ায় অপ্রস্তুত নই বরং ভালো লাগছে, উৎসাহ লাগছে।”