শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসক ও কর্মচারীদের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িতদের গ্ৰেপ্তারে ৭২ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়ে হাসপাতোলে ফিরেছেন চিকিৎসক ও কর্মচারীরা।
রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) সকালে হাসপাতালের চিকিৎসাসেবা চালু করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. হাবিবুর রহমান।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ জানায়, শনিবার তুচ্ছ বিষয় নিয়ে সদর হাসপাতালের চিকিৎসক ও কর্মচারীদের ওপর লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা চালায় তুলাসার এলাকার শারমিন নামের এক রোগীর স্বজনরা। এতে একজন চিকিৎসকসহ অন্তত ৪ জন আহত হয়। পরে খবর পেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। এ ঘটনায় চিকিৎসক-কর্মচারীরা কর্মবিরতির ঘোষণা দেন।
হামলার ঘটনায় ৫ নামে ও ২৫ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে থানায় একটি মামলা করেন সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. হাবিবুর রহমান।
পরে প্রশাসনের আশ্বাসে ২৪ ঘণ্টার কর্মবিরতির পর রোববার সকালে চিকিৎসাসেবা চালু করে কর্তৃপক্ষ। তবে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে দোষীদের গ্রেপ্তার না হলে পরবর্তীতে কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়ার কথা জানান তারা।
এ ব্যাপারে ডা. হাবিবুর রহমান বলেন, “কিছু দুর্বৃত্ত আমাদের হাসপাতালের চিকিৎসক ও কর্মচারীদের উপর হামলা চালায়। এতে আমাদের একজন কর্মচারী গুরুতর আহত হয়েছেন। তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় হাসপাতালে জরুরি বিভাগ ছাড়া বর্হিবিভাগ ও অন্তঃবিভাগ বন্ধ রাখা হয়। পরবর্তীতে থানায় মামলা হলে পুলিশ সুপার ও জেলা প্রশাসক আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তারের আশ্বাস দিলে ২৪ ঘণ্টা পর হাসপাতালের সকল কার্যক্রম চালু করা হয়। আমরা তাদের ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছি, যদি আসামিদের এ সময়ের মধ্যে গ্রেপ্তার করা না হয়, তাহলে আমরা পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা দিব।”