• ঢাকা
  • রবিবার, ০৯ মার্চ, ২০২৫, ২৫ ফাল্গুন ১৪৩০, ৮ রমজান ১৪৪৫

মাছ ধরা নিয়ে বিরোধ, চাচার লাঠির আঘাতে ভাতিজার মৃত্যু


সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: মার্চ ৮, ২০২৫, ০৩:৩৫ পিএম
মাছ ধরা নিয়ে বিরোধ, চাচার লাঠির আঘাতে ভাতিজার মৃত্যু
সাতক্ষীরার মানচিত্র। ছবি : সংবাদ প্রকাশ গ্রাফিক্স

সাতক্ষীরার শ্যামনগরে পুকুরে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে চাচার লাঠির আঘাতে ভাতিজা ইউনুস গাজীর (৪৫) মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (৭ মার্চ) রাত সাড়ে ৭টার দিকে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। এর আগে বিকেলে আহত অবস্থায় তাকে শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভ‌র্তি করা হ‌য়ে‌ছিল।

নিহত ইউনুস গাজী উপজেলার ভুরুলিয়া ইউনিয়নের ব্রাহ্মশাসন গ্রামের মোহাম্মদ আলী গাজীর ছেলে।

জানা যায়, যৌথ মালিকানাধীন পুকুরের মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে শুক্রবার বিকেলে ২ পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের সময় চাচা রুহুল আমিনের লাঠির আঘাতে ভা‌তিজা ইউনুস আহত হন। পরে স্বজনরা আহত অবস্থায় তা‌কে উদ্ধার ক‌রে শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার প‌থে তার মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছে।

নিহতের ভাই খোকন গাজী জানান, রুহুল আমিন, আদম আলী ও তার পিতা মোহাম্মদ আলীর যৌথ মালিকানাধীন একটি পুকুর রয়েছে। বিগত দিনে একই বিষয় তাদের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদও হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে তার ভাই ওই পুকুরে মাছ ধরতে গেলে চাচা রুহুল আমিন বাধা দেন। একপর্যায়ে তার চাচা রুহুল আমিন ইউনুসের মাথা ও ঘাড়ে লাঠি দিয়ে আঘাত করলে সে (ইউনুস গাজী) মাটিতে পড়ে যায়। এসময় তা‌কে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নেওয়া হয়। পরে সাতক্ষীরায় নেওয়ার প‌থে তার ভাইয়ের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় চাচাসহ অন্যান্যদের বিরুদ্ধে আইনের আশ্রয় নেবেন বলেও জানান তিনি।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত রুহুল আমিন গাজীর মোবাইলে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।

শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হুমায়ুন কবির মোল্লা জানান, মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ায় অভিযুক্তরা বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়েছেন। প্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশ মাঠে কাজ করছে।” 

Link copied!