বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) ছিল ব্রাহ্মনবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার খারঘর গণহত্যা দিবস। এ উপলক্ষে এক আলোচনা সভা খারঘর গণকবর সংরক্ষণ ও বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক কাজী ইমরুল কবীর সুমনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন নবীনগরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তানভীর ফরহাদ শামিম।
এলাকাবাসীর পক্ষে সভাপতির কিছু দাবি দাওয়ার প্রেক্ষিতে ইউএনও বলেন, “খারঘর গণকবরের মুক্তিযুদ্ধের ৭১ স্মৃতিসৌধের কাছে আসার জন্য রাস্তাটি আরো বড় করা জরুরী। সেটা কিভাবে করা সম্ভব আমরা তা ভেবে দেখবো। গণকবরের সাইডওয়াল ভেঙে গেছে। কবরগুলো রক্ষার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করা হবে। এখানে একটি কমপ্লেক্স ও পাবলিক লাইব্রেরিও হবে।”
তিনি বলেন, ‘বড়াইল খারঘরের সরকারি খাস জমিগুলো উদ্ধার করে এলাকাবাসী চাইলে সেগুলো শিশু কিশোরদের জন্য খেলার মাঠ তৈরী করা হবে।’
বিএনপি’র জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য তকদির হোসেন মোহাম্মদ জসিম এই অনুষ্ঠানটিকে আরো বৃহত্তর পরিসরে এবং সকালের পরিবর্তে বিকালের দিকে আয়োজন করার পরামর্শ দেন।
খারঘর গণকবর সংরক্ষণ ও বাস্তবায়ন কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. মহিউদ্দীন আহমেদ জীবনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ মিটফোর্ড হাসপাতালের ফিজিক্যাল মেডিসিন ও রিহ্যাবিলিটেশন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও অধ্যাপক ডা. মো. রুহুল আমিন, মেজর ডা. আসাদুজ্জামান রিফাত, এডভোকেট রেজাউল করিম সবুজ, সাইদুল আলম সোরাফ, মো. তোফাজ্জল হোসেন পলাশ, পিয়াল হাসান রিয়াজ, মো. জাহাঙ্গীর আলম, কাজী মোখলেছুর রহমান, মো. আবুল বাশার, মো. সুমন সরকার, মো. ইউছুফ আহাম্মদ, পারুল বেগম, মীর মিজানুর রহমান, মনোয়ারা বেগম, মো. মহিউদ্দিন, আনিসুজ্জামান রাজ, নাছির উদ্দীন, হাজী রমজান ব্যাপারী।
এর আগে তানভীর ফরহাদ শামিম ও নবীনগর থানার অফিসার ইন-চার্জ (তদন্ত) সজল কান্তি দাস এর উদ্যোগে ৭১ শহিদ স্মৃতিসৌধে পুস্পস্তবক অর্পন করা হয়। আলোচনা সভা শেষে শহীদদের স্মরণে দোয়া মাহফিল হয়।
উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালের ১০ অক্টোবর খারঘর গ্রামে পাকিস্তানি হানাদারদের হামলায় ৪৩ গ্রামবাসী ও মুক্তিযোদ্ধা শহিদ হন। এর মধ্যে দু’টি গণকবরে শহীদদের সমাহিত করা হয়।