হিমালয়ের কাছাকাছি জেলা দিনাজপুরে একদিনের ব্যবধানে তাপমাত্রা কমেছে প্রায় ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়াও সপ্তাহজুড়ে তিন দিন মৃদু শৈত্যপ্রবাহের কবলে উত্তরের এই জনপদ।
সোমবার (২২ জানুয়ারি) সকালে জেলার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর রোববার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
দিনাজপুর আঞ্চলিক আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের আবহাওয়া সহকারি আসাদুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
দপ্তরটির সপ্তাহ জুড়ে রেকর্ডে বলছে, ২১ ও ২২ তারিখের পাশাপাশি ১৬ জানুয়ারি জেলার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ১১ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়াও সপ্তাহের অন্যান্য দিন অর্থাৎ ১৭ জানুয়ারি ১১, ১৮ জানুয়ারি ৮ দশমিক ৯, ১৯ জানুয়ারি ১০ দশমিক ৯ এবং ২০ জানুয়ারি রেকর্ড করা হয়েছিল ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
জানা যায়, কোনো অঞ্চলের তাপমাত্রা যদি ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকে, তবে তাকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বলে। আর ৬ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে মাঝারি এবং ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামলে তাকে বলা হয় তীব্র শৈত্যপ্রবাহ।
দপ্তরটির রেকর্ড করা তাপমাত্রার হিসাবে দেখা যাচ্ছে, আজ সোমবার (২২ জানুয়ারি), ২০ জানুয়ারি এবং ১৮ জানুয়ারি জেলাটি মৃদু শৈত্য প্রবাহ কবলে পড়েছে।
শয়ন চন্দ্র দাস নামের এক ব্যক্তি বলেন, “প্রচুর ঠান্ডা পড়েছে। সকালে কুয়াশা পড়ছে। মোটরসাইকেল চালিয়ে দোকান যাওয়ার সময় হাতগুলো অবশ হয়ে যাচ্ছে মনে হয়। কোনো কাজ করা যাচ্ছে না।”
মহাদেব রায় নামের আরেক ব্যক্তি বলেন, “দিনাজপুরে প্রতিবারেই ঠান্ডা সময় প্রচুর ঠান্ডা। আর গরমের সময় প্রচুর গরম লাগে। অনেক অসুবিধা হলেও এরই মধ্যে বেঁচে থাকতে হচ্ছে। সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে যারা রেলস্টেশনে সুয়ে থাকছে।”
আবহাওয়া সহকারী আসাদুজ্জামান বলেন, “পুরো এই মাসে (জানুয়ারি) শীতের তীব্রতা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। হিমেল বাতাসের কারণে শীতের প্রকোপ বেড়েছে। এ অবস্থা তিন থেকে চার দিন অব্যাহত থাকতে পারে।”
উল্লেখ্য, সোমবার (১২ জানুয়ারি) দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে দিনাজপুর ও নওগাঁর বদলগাছীতে ৮ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।