• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফেসবুকে ঢাকা-মাদারীপুরের বাস বর্জনের ডাক


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: মার্চ ৭, ২০২৩, ১২:১৯ পিএম
ফেসবুকে ঢাকা-মাদারীপুরের বাস বর্জনের ডাক

মাদারীপুরে বাসভাড়া বাড়ার প্রতিবাদে সরব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের বিভিন্ন গ্রুপ ও পেইজ। ভাড়া বাড়ার প্রতিবাদে অনেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিচ্ছেন। মেসেঞ্জার গ্রুপ খুলেও সংগঠিত হচ্ছেন প্রতিবাদকারীরা। তারা অন্য জেলার পরিবহনে ঢাকা পৌঁছে বাস ও টিকিটের ছবি পোস্ট দিয়ে মাদারীপুরের পরিবহনগুলোকে বর্জনের ডাক দিচ্ছেন।

রুমেল ইমতিয়াজ নামের একজন ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, ‘শরীয়তপুর দিয়ে ঢাকায় যাচ্ছি ২৫০ টাকায়। বয়কট মাদারীপুরের সার্বিক, চন্দ্রা, সোনালী। মাদারীপুরের জনগণের আন্দোলনের সাথে আমিও একাত্মতা ঘোষণা করছি।’

মাদারীপুর-ঢাকা সড়কপথে বাসভাড়া ১০০ টাকা বাড়িয়ে ৪০০ টাকা করার প্রতিবাদে এভাবে অনেকেই বর্জন করেছেন এ পথের বাস। তাঁদের একটি বড় অংশ ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে ও মেসেঞ্জার গ্রুপে এ পথের বাসগুলো বর্জনের ডাক দিচ্ছেন। যাত্রীদের এই প্রতিবাদ চলছে দুই সপ্তাহ ধরে। এসব যাত্রী বিকল্প যানবাহনে রাজধানী ঢাকার সঙ্গে যাতায়াত করছেন।

মেহেদী হাসান নামের এক যাত্রী বলেন, “খেয়ালখুশি মতো ভাড়া বাড়ানোর প্রতিবাদে আমি আমার অবস্থান থেকে মাদারীপুরের পরিবহন বয়কট করেছি। ঢাকা থেকে মাদারীপুর আসতে বরিশালের বাসে জনপ্রতি ৩৫০ টাকা লেগেছে। বরিশালের বাসগুলোর সার্ভিসও মাদারীপুরের বাসের থেকে ভালো।”

যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর মাদারীপুর-ঢাকা সড়কপথে ২৫০ টাকার ভাড়া বাড়িয়ে করা হয় ৩০০ টাকা। পরে তেলের দাম ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় সেই ভাড়া ৩৫০ টাকা করা হয়। আর এসি বাসে জনপ্রতি ভাড়া হয় ৪০০ টাকা। অক্টোবর পর্যন্ত নন–এসি বাসে ৩৫০ টাকা ভাড়া থাকলেও প্রতিযোগিতা করে অনেক পরিবহন ৩০০ টাকা ভাড়া নিত। একপর্যায়ে জেলার সব কটি ঢাকাগামী পরিবহন যাত্রীপ্রতি ৩০০ টাকা ভাড়া নিতে শুরু করে। তবে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি মাদারীপুর সড়ক পরিবহন বাস মালিক সমিতির একটি সিন্ডিকেট সভায় এ সড়কপথে বাসের ভাড়া ৪০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়। কোনো ধরনের নোটিশ বা প্রজ্ঞাপন ছাড়াই যা পরের দিন থেকে কার্যকর হয়।

সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) মাদারীপুর কার্যালয় সূত্র বলছে, মাদারীপুর থেকে ঢাকা সড়কপথের দূরত্ব ১১১ কিলোমিটার। ৪০ সিটের পরিবহনে প্রতি কিলোমিটার ২ টাকা ২০ পয়সা করে প্রতি সিটের ভাড়া দাঁড়ায় ২৪৪ টাকা ২ পয়সা। পদ্মা সেতুতে টোল বাবদ দিতে হয় ২ হাজার ৪৯৫ টাকা। এর ফলে প্রতিটি সিটের ভাড়ার সঙ্গে যোগ হওয়ার কথা ৬২ টাকা ৩৭ পয়সা।

মাদারীপুর সড়ক পরিবহন বাস মালিক সমিতি কার্যকরী সদস্য মিজানুর রহমান জানান, তেলের দাম বাড়ায় বাসভাড়া বাড়ানো হয়েছে। ৪০০ টাকা ভাড়া আগেই নির্ধারণ করা ছিল।

মাদারীপুরের পুলিশ সুপার মো. মাসুদ আলম বলেন, “বিষয়টি আমরা তদন্ত করে দেখছি। প্রয়োজনে মালিক সমিতির সঙ্গে বসে একটি সমাধান করব।”

Link copied!