হিমালয়কন্যা পঞ্চগড় চলতি শীত মৌসুমের দ্বিতীয়বারের মতো ঘন কুয়াশায় ঢাকা পড়েছে। সঙ্গে অব্যাহত থাকতে দেখা গেছে পাহাড়ি হিম বাতাস। শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) সকাল ৯টা বাজলেও ব্যস্ততম সড়কগুলোতে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে বিভিন্ন যানবাহন। কর্মজীবী মানুষকে পড়তে হচ্ছে বিড়ম্বনায়।
সকাল ৯টায় পঞ্চগড় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে তেঁতুলিয়ায় ১২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা। বাতাসের আদ্রতা ছিল ৯৫ শতাংশ।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, সকাল সকাল শীতের অনুভূতি একটু বেশি থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঠান্ডার পরিমাণ কিছুটা কমতে শুরু করে। তবে ঘন কুয়াশার তীব্রতা বেশি লক্ষ করা গেছে।
আবহাওয়া অফিস বলছে, গত শনিবার (৩০ নভেম্বর) সকাল ৯টায় ১০ দশমিক ৩ ডিগ্রি ও রোববার (১ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করে আবহাওয়া অফিস। সোমবার (২ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় ১০ দশমিক ৯ ডিগ্রি, মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়।
এদিকে বুধবার (৪ ডিসেম্বর) সকাল ৯ টায় ১১ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হলেও বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে সকাল ৬টায় ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়। তবে শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) দশমিক ২ ডিগ্রি কমে সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
জানা গেছে, গত ১০ দিন ধরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বিরাজ করে তেঁতুলিয়ায়। অপর দিকে দিনভর পাহাড়ি হিম বাতাস অব্যাহত থাকলেও রাত থেকে সকাল পর্যন্ত থাকছে কুয়াশা। গত কয়েক দিন বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঝলমলে রোদ দেখা মিললে শুক্রবার ঘন কুয়াশার কারণে দেখা মেলেনি রোদের।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের পর্যবেক্ষক রোকনুজ্জামান রোকন বলেন, আকাশে মেঘ থানায় জেলা জুড়ে দেখা দিয়েছে ঘন কুয়াশা। অপর দিকে দিন ও রাতের তাপমাত্রাও কমে আসতে শুরু করেছে। দিনের তাপমাত্রা ২৭ ডিগ্রি থেকে ৩০ ডিগ্রির মধ্যে থাকলেও সন্ধ্যার পর থেকে সকাল ৯টায় পর্যন্ত তাপমাত্রা কমে এসে তা ১২ ডিগ্রির ঘরে দাঁড়িয়েছে। সব থেকে বেশি ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে রাতের বেলা।
আগামী কয়েক দিনের মধ্যে শীতের তীব্রতা বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে বলেও জানান তিনি।