• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফরিদপুরে পরিবহন সিন্ডিকেট ও ভাড়া নৈরাজ্য বন্ধের দাবি


ফরিদপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: আগস্ট ১২, ২০২৪, ০৯:২০ পিএম
ফরিদপুরে পরিবহন সিন্ডিকেট ও ভাড়া নৈরাজ্য বন্ধের দাবি

ফরিদপুর-ঢাকা রুটে চলাচল করা যাত্রীবাহী পরিবহন গোল্ডেন লাইনের একক আধিপত্য বন্ধ করে অন্য পরিবহন চলাচলের দাবি জানিয়েছেন ফরিদপুরবাসী। একই সঙ্গে ভাড়া নৈরাজ্য বন্ধের দাবি জানানো হয়েছে।

সোমবার (১২ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ফরিদপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত মানববন্ধনে এ দাবি জানানো হয়।

শিক্ষার্থীদের ব্যানারে আয়োজিত এই মানববন্ধনে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন। পরে তারা জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. কামরুল আহসান তালুকদারের কাছে একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন।

মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, “আমরা দীর্ঘদিন ধরে বাস সিন্ডিকেটের কাছে জিম্মি। দীর্ঘদিন যাবৎ একটি মাত্র পরিবহন গোল্ডেন লাইনের কাছে আমরা জিম্মি হয়ে পড়েছি। তারা ইচ্ছেমতো ভাড়া নির্ধারণ করে থাকে। এই সিন্ডিকেটের কারণে ফরিদপুরে অন্য কোনো বড় যাত্রীবাহী পরিবহন ঢুকতে পারে না। আমরা অবিলম্বে ঢাকা-ফরিদপুর রুটে বাস ভাড়া তিনশ টাকা করার দাবি জানাচ্ছি। এছাড়া ফরিদপুর থেকে ভালোমানের অন্য যেকোনো পরিবহন চালুর দাবি জানাচ্ছি।”

শিক্ষার্থী আবরার নাদিম ইতু বলেন, “আমরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে জানান দিয়েছি, দেশে যেসকল বিদ্যমান সমস্যা রয়েছে তা সমাধান করতে হবে। ইতোমধ্যে আমরা সক্ষমতারও পরিচয় দিয়েছি। আমরা আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে যদি বাস সিন্ডিকেট নিপাত না হয় এবং ভাড়া কমানো না হয় আমরা আরও কঠোর আন্দোলন গড়ে তুলব।”

মানববন্ধনে অংশ নেওয়া অ্যাডভোকেট মেহেরুন্নেসা স্বপ্না বলেন, “গোল্ডেন লাইন দীর্ঘদিন যাবৎ এককভাবে ব্যবসা করে যাচ্ছে এবং অন্য ব্যবসায়ীদের বঞ্চিত করছে। যাত্রীরা হয়রানির শিকার হচ্ছেন এবং অন্য পরিবহনের চেয়ে অধিক পরিমাণ টিকিট মূল্য নেওয়া হচ্ছে। তারা এতটাই শক্তিশালী যে, আমরা এতদিন তাদের কিছু বলতে পারি নাই। আমরা এখন আশাবাদী, এই সরকার আমাদের দাবি সমর্থন করবেন এবং আমরা শিক্ষার্থীদের নিয়ে এই সিন্ডিকেট ভাঙতে সক্ষম হব।”

এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন ফরিদপুর ডায়েবেটিস মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী আহমেদ সৌরভ, সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের শিক্ষার্থী জেবা তাহসিন, স্থানীয় বাসিন্দা আলী মকিমসহ অনেকে।

মানববন্ধন শেষে তারা মিছিল বের করেন। পরে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে গিয়ে জেলা প্রশাসক মো. কামরুল আহসান তালুকদারের কাছে একটি স্মারকলিপি তুলে দেন। এ সময় জেলা প্রশাসক শিক্ষার্থীদের দাবি দাওয়ার কথা শোনেন এবং স্মারকলিপিটি মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে বলে আশ্বস্ত করেন।  

Link copied!