ফরিদপুরে ধর্মীয় সম্প্রীতি নষ্ট ও অপতৎপরতা মাধ্যমে ধর্মান্তরিতকরণ বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) দুপুরে জেলা শহরে আলেম সমাজ ও ছাত্র-জনতার আয়োজনে এই কর্মসূচি পালিত হয়। পরে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন ধর্মীয় নেতারা।
ধর্মীয় নেতারা বলেন, ধর্ম পালনে কোনো বাঁধা নেই। যার যার ধর্ম সে সে পালন করবে। হোক সে মুসলিম, খৃষ্টান বা হিন্দু। কিন্তু সূফিবাদের নামে একটি মহল ইসলাম ধর্মকে ব্যবহার করে ভিন্ন একটি মতাদর্শ প্রতিষ্ঠিত করতে চায়, যেটা ইসলামে গ্রহণযোগ্যতা নেই।
নেতারা আরও বলেন, “রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ নূরা পাগলা দরবার শরীফের নূরতাজ নোভা গং মুসলিম হয়েও ফরিদপুরে ধর্মীয় সম্প্রীতি নষ্ট করছেন। হতদরিদ্র মানুষকে লোভ লালসা দেখিয়ে খৃষ্টান ধর্মে ধর্মান্তরিত করছেন। তারা নিজেদের সুফিবাদী ও ঈসা নবীর অনুসারী দাবি করে মানুষকে বিভ্রান্ত ও ধর্মান্তরিত করছেন। সুতরাং আমরা তাদের অপতৎপরতা বন্ধের দাবিতে এবং তাদের মূল উদ্দেশ্যে নিয়ে সুরাহা করার জন্যই ডিসি স্যারের কাছে এসেছি। আমরা এর সুষ্ঠু তদন্ত ও সমাধান চাই।”
বিক্ষোভকারীরা জেলা প্রশাসকের কাছে তিনটি দাবি তুলে ধরেন। তাতে বলা হয়, নুরতাজ গংদের ধর্মীয় ও সামাজিক বিশৃঙ্খলাসহ সকল অপতৎপরতা বন্ধের ব্যবস্থা করতে হবে। তাদের অপতৎরতায় যারা পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়েছে, তাদের নিজ পরিবারের নিকট ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে এবং যে সকল স্থানে তাদের কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে তা বন্ধ করতে হবে।
এ সময় বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের জেলা শাখার সভাপতি মাওলানা আমজাদ হুসাইন বলেন, “১৯৯২ সালেও এই নূরতাজ নোভার বাবা নূরা পাগলা নিজেকে ইমাম মাহদী দাবি করেছিলেন। তখন ফরিদপুর ও রাজবাড়ীর আলেম সমাজ প্রতিবাদ করেছিল। সেই নূরা পাগলার ছেলে নূরতাজ নোভা আবার সেই অপতৎপরতা চালাচ্ছেন। আমরা তাকে গ্রেপ্তারের দাবি জানাচ্ছি।”
বিক্ষোভ মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন চরকমলাপুর মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল ও শাইখুল হাদিস আল্লামা হেলাল উদ্দিন (দাঃবাঃ)। তিনি বলেন, “আমাদের দাবি দাওয়া নিয়ে জেলা প্রশাসককে জানিয়েছি। তিনি অতি দ্রুত এটা সুরাহার জন্য আশ্বাস দিয়েছেন। তবে, আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা বসে থাকব না।“
এসময় ফরিদপুর ইমাম কল্যাণ ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা মাওলানা আবুল হুসাইন, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম জেলা শাখার সভাপতি মুফতি কামরুজ্জামান, ইসলামিক আন্দোলন বাংলাদেশের জেলা সভাপতি মাওলানা মোস্তফা কামাল, যুব উলামা কল্যাণ পরিষদের সভাপতি মাওলানা সৈয়দ শামছুল হক, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আবরার নাদিম ইতু ও সোহেল রানা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।