খুলনার দাকোপ উপজেলার পাঁচটি মন্দির কমিটির নেতাদের কাছে ডাকযোগে চিঠি পাঠিয়ে চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে। ওই মন্দির কমিটির নেতারা বলছেন, দুর্গাপূজা আয়োজন ও উদ্যাপন করতে হলে প্রতিটি মন্দির থেকে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দিতে হবে বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।
বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) থেকে ডাকযোগে এমন পাঁচটি চিঠি এসেছে দাকোপের মন্দির কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের নামে।
মন্দিরগুলো হলো সুতারখালী সর্বজনীন দুর্গাপূজা (মাধ্যমিক স্কুলসংলগ্ন), সুতারখালী সর্বজনীন দুর্গাপূজা (পূর্ব পাড়া), রামনগর বীণাপাণি সর্বজনীন দুর্গামন্দির, রামনগর ঠাকুরবাড়ী সর্বজনীন দুর্গামন্দির এবং কালীনগর বাজার সর্বজনীন দুর্গামন্দির। এলাকার হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ এতে আতঙ্কিত।
বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদ খুলনা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক বিমান সাহা বলেন, “পাঁচটি মন্দিরের সভাপতি-সম্পাদকদের নামে ডাকযোগে চিঠি এসেছে। এ খবর জেলাব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে। এ নিয়ে সবার মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।”
পূজা উদ্যাপন পরিষদ খুলনা জেলা শাখার সভাপতি কৃষ্ণপদ দাস বলেন, “প্রশাসনের প্রতি আমরা জোর দাবি, এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের খুঁজে বের করে বিচারের আওতায় আনুন। না হলে যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে, তা কোনোভাবেই কাটবে না।”
দাকোপ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘চিঠির কপি আমাদের হাতে এসেছে। মন্দির কমিটি থেকে পাঁচটি লিখিত অভিযোগও করা হয়েছে। বিষয়টি আমরা তদন্ত করছি। সেনাবাহিনীও এ নিয়ে মাঠে কাজ করছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে যেকোনো প্রতিবন্ধকতা রোধ করা হবে।’