নোয়াখালীতে এক সপ্তাহেও ত্রাণ পৌঁছেনি অনেক এলাকায়। এই পরিস্থিতিতে খাদ্য ও সুপের পানির জন্য দুর্গত মানুষের মধ্যে দেখা দিয়েছে চরম হাহাকার। পানিবন্দী মানুষের খাবার, বিশুদ্ধ পানি ও ওষধ পৌঁছে দেওয়ার জন্য নৌযান আনা হয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন। রেডক্রিসেন্টসহ বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কর্মীরাও পানিবন্দী মানুষের মাঝে খাবার পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে কাজ করছে।
সরকারি হিসেবে জেলার ৯ উপজেলা ৮ পৌরসভা ও ৮৭ ইউনিয়নের ২০ লাখ মানুষ পানিবন্দী অবস্থায় রয়েছে। খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংকটে চরম মানবেতর জীবন পার করছেন তারা। নিরুপায় হয়ে প্রতিদিনই পানিবন্দী মানুষ বাড়িঘর ছেড়ে আশ্রয়কেন্দ্রে উঠছে।
সরকারি হিসেবে নোয়াখালীতে এ পর্যন্ত ৯০৮টি আশ্রয়কেন্দ্র আশ্রয় নিয়েছে ১ লাখ ৬৩ হাজার ২৯১ জন মানুষ। এর বাইরে অসংখ্য মানুষ বিভিন্ন স্কুল, মাদ্রাসা ও দোকানপাটে আশ্রয় নিয়েছে। নারী, শিশু, বৃদ্ধ ও অসুস্থ লোকজন গাদাগাদি করে থাকছে এসব অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে। এসব আশ্রয়কেন্দ্র ও পানিবন্দী মানুষের মাঝে খাবার, ওষধ ও বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা দিয়েছে।
জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান বলেন, “সরকারিভাবে এ পর্যন্ত পানিবন্দী মানুষের মাঝে নগদ ৪৫ লাখ টাকা, ৮৮২ মেট্রিক টন চাল ও ১ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে।”
তবে সরকারি সহায়তার দিকে তাকিয়ে না থেকে রেডক্রিস্টে সোসাইটিসহ বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এসব দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছেন নিজেদের সামর্থ অনুযায়ী।
রোববার দিনভর বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে আসার পানির কারণে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। জেলা আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, আজ সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ৫৭ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে।
আর নোয়াখালী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মুন্সি আমির জানান, জেলায় সন্ধ্যা পর্যন্ত ২০ মিলিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।