সুন্দরবনে চলছে বাঘ গণনা। এর আগে আরও ৫টি প্রাণীর ওপর জরিপ চালিয়েছে বন বিভাগ। সেগুলো হলো হরিণ, বানর, বন্যশূকর, গুইসাপ, সজারু। জরিপে হরিণ, বানর, বন্যশূকরের পরিমাণ আগের তুলনায় অনেক বেড়েছে বলে উঠে এসেছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) সুন্দরবনের করমজল পর্যটন স্পটের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাওলাদার আজাদ কবির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
হাওলাদার আজাদ আরও বলেন, “চলতি বছর শুরু হওয়া বাঘ জরিপে বাঘ বৃদ্ধির ইঙ্গিত মিলেছে। তবে আমাদের পুরো জরিপ চলতি বছরের আন্তর্জাতিক বাঘ দিবসের (২৯ জুলাই) আগে শেষ হবে। তখন বাঘের সঠিক তথ্য পাওয়া যাবে।”
তিনি আরও বলেন, বাঘ জরিপের আগে বাঘের খাদ্য সুন্দরবনের হরিণ, বানর, বন্যশূকর, গুইসাপ, সজারুর ওপর বন বিভাগ জরিপ চালিয়েছে। গুইসাপ ও সজারুর পূর্বের পরিসংখ্যান না থাকায় এগুলি বেড়েছে না কমেছে, তা নির্ধারণ করা যায়নি।
এর আগে ২০০৪ সালে হরিণ, বানর, বন্যশূকর ওপর জরিপ চালানো হয়। ২০০৪ সালে হরিণের সংখ্যা ছিল ৮৩ হাজার, বর্তমান জরিপে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৩৬ হাজার ৬০৪টি। ২০০৪ সালে বন্যশূকর ছিল ২৮ হাজার, বর্তমানে তা দাঁড়িয়েছে ৪৭ হাজার ৫১৫টি।
বানর ২০০৪ সালে ছিল ৫১ হাজার, বর্তমানে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৫২ হাজার ৪৪৪টি। সুন্দরবনে বর্তমানে গুইশাপ ২৫ হাজার ১২৪টি এবং সজারু ১২হাজার ২৪১টি রয়েছে।
জানতে চাইলে খুলনা অঞ্চলের প্রধান বন সংরক্ষক মিহির কুমার দো বলেন, ২০২১ সালের নভেম্বর থেকে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত জার্মানির কেএফডব্লিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের আর্থিক সহায়তায় ও ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর দ্য কনজারভেশন অব নেচারের (আইইউসিএন) সার্বিক সহযোগিতায় সুন্দরবনে হরিণসহ ৫টি প্রাণীর সংখ্যার ওপর জরিপ চালানো হয়েছে। র্যাব, কোস্টগার্ড, বিজিবি ও বন বিভাগের নিয়মিত টহলের কারণে হরিণ শিকারের সুযোগ কমে গেছে। সুন্দরবনে রাসমেলা বন্ধ হয়ে যাওয়া ও জলদস্যু মুক্ত হওয়ায় হরিণ শিকার কমেছে। এছাড়া সুন্দরবনে অভয়ারণ্য বৃদ্ধি ও আবাসস্থলের উন্নয়ন ঘটায় বন্য প্রাণীর প্রজনন ক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে।