শেরপুরে বন্যহাতি ও মানুষের মধ্যে দ্বন্দ্ব নিরসনে জেলার পাহাড়ি অঞ্চলে হাতির জন্য অভয়ারণ্য তৈরির ঘোষণা আসছে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু বিষয়ক মন্ত্রী মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন।
শনিবার (২২ জুলাই) বিকেলে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ডিসি উদ্যানে বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলা উদ্বোধন শেষে বনমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন বলেন, “অভয়ারণ্য তৈরির সঙ্গে সঙ্গে হাতির চলাচলের করিডোরও চিহ্নিতকরণ করা হবে। এছাড়া সকলকে বেশি বেশি গাছ লাগাতে হবে এবং প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধ করতে হবে।”
বনমন্ত্রী আরও বলে, “বন্যহাতির আক্রমণে মানুষের প্রাণহানী, ঘর-বাড়ি ও ফসল নষ্টের ঘটনায় ২০১৪ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের মধ্যে ৯২ লাখ ২৫ হাজার টাকা সহায়তা দেওয়া হয়েছে।”
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আতিউর রহমান আতিক, প্রধান বন সংরক্ষক আমীর হোসাইন চৌধুরী, উপপ্রধান বন সংরক্ষক ও প্রকল্প পরিচালক গোবিন্দ রায়, বন সংরক্ষক হোসাইন মোহাম্মদ নিশাদ, পুলিশ সুপার কামরুজ্জামান বিপিএম এবং পৌর মেয়র গোলাম মোহাম্মদ কিবরিয়া লিটন।
প্রসঙ্গত, দেশের উত্তরের জেলা শেরপুরের সীমান্তবর্তী এলাকা নালিতাবাড়ী, ঝিনাইগাতী ও শ্রীবরদী উপজেলার ৩৫ কিলোমিটার এলাকা বনাঞ্চল। দীর্ঘদিন ধরেই এই বনাঞ্চলে প্রতিনিয়ত হাতি ও মানুষের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছে। দ্বন্দ্বে কখনও মানুষ আবার কখনো হাতি মারা গেছে।