নওগাঁ-২ (পত্নীতলা ও ধামইরহাট) আসনের ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আমিনুল হক মারা গেছেন। শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) ভোরে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
আমিনুল হকের ব্যক্তিগত সহকারী ছয়ফুল ইসলাম মৃত্যুর বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, মামলার শুনানিতে অংশ নিতে ২৫ ডিসেম্বর ঢাকায় যান আমিনুল হক। এরপরই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরের দিন রাতে তাকে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ ভোর ৫টার দিকে তার মৃত্যু হয়। তিনি ডায়াবেটিস, হৃদরোগসহ বিভিন্ন জটিল রোগে ভুগছিলেন।
ছয়ফুল ইসলাম আরও জানান, শুক্রবার সন্ধ্যার আগেই আমিনুল হকের মরদেহ গ্রামের বাড়ি নওগাঁর নজিপুরে পৌঁছাতে পারে। আগামীকাল শনিবার সকাল ১০টায় জানাজা শেষে বাদ জোহর পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নওগাঁ-২ আসন থেকে নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করতে আমিনুল হক দলের মনোনয়ন চেয়েছিলেন। দল থেকে মনোনয়ন না পেয়ে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। কিন্তু নির্বাচন কমিশন তার মনোনয়নপত্রে বিভিন্ন অসংগতি তুলে ধরে প্রার্থিতা বাতিল করে দেয়। পরে আমিনুল হক প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ার জন্য হাইকোর্টে রিট করেন। রিটের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট বুধবার তার প্রার্থিতা বৈধ বলে রায় দেন। বৃহস্পতিবার নওগাঁ জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে তাকে ঈগল প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়।
আমিনুল হক ২০০৬ সালে নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলার নজিপুর পৌরসভার মেয়র নির্বাচিত হন। তিনি নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক। এ ছাড়া তিনি ১৯৮৬ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত একাধিকবার পত্নীতলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।