টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার বাঁশতৈল পুলিশ ফাঁড়িতে লেবু মিয়া (৫০) নামের এক ব্যক্তির মৃত্যুর ঘটনায় দায়িত্বে থাকা কনস্টেবল সুব্রত সরকারকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় তাকে ফাঁড়ি থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়।
টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার এ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
মোহাম্মদ কায়সার জানান, এ ঘটনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মীর মনির হোসেনকে প্রধান করে সখিপুর সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার এসএম রাকিবুর রাজা ও পরিদর্শক (ক্রাইম) সুব্রত কুমার সাহাকে সদস্য করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী তিনদিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। এছাড়াও আসামির পাহারায় দায়িত্বে থাকা কনস্টেবল সুব্রত সরকারকে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে।
পুলিশ সুপার আরও বলেন, “হাজতখানায় রশির বিষয়টি আমরা গুরুত্ব দিয়ে দেখছি। কারো দায়িত্বে অবহেলা থাকলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
জানা গেছে, সখিনা বেগম (৪৩) নামের এক নারীকে হত্যার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে লেবু মিয়াসহ ওই নারীর সাবেক স্বামী মফিজুর রহমানকে পুলিশ আটক করে। পরে ফাঁড়িতেই লেবু মিয়াকে নির্যাতন করে হত্যার অভিযোগ তোলে পরিবার। পুলিশের দাবি, লেবু মিয়া গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।
এদিকে পুলিশ হেফাজতে নির্যাতনে মৃত্যুর অভিযোগ এনে দুপুরে বাঁশতৈল বাজারে এলাকাবাসী সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ করেন।
বাঁশতৈল পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক সাখাওয়াত হোসেন বলেন, “এক নারীর মৃত্যুর ঘটনায় তার ভাই বাদী হয়ে সাবেক স্বামী মফিজুর রহমান ও একই এলাকার লেবু মিয়ার বিরুদ্ধে মামলা করেন। এ ঘটনায় তাদের দুইজনকে আটক করা হয়। পরে লেবু হাজতখানায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। ফাঁড়িতে কোনো ধরনের নির্যাতনের ঘটনা ঘটেনি।”