• ঢাকা
  • শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

এবার সৈকতে ভেসে এল মৃত ইরাবতী ডলফিন


কক্সবাজার প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২৪, ০২:৪৫ পিএম
এবার সৈকতে ভেসে এল মৃত ইরাবতী ডলফিন
মারা যাওয়া ইরাবতি প্রজাতির ডলফিন। ছবি : প্রতিনিধি

কক্সবাজারের হিমছড়ি সমুদ্রসৈকতে একটি মৃত ডলফিন ভেসে এসেছে। ডলফিনটি ইরাবতী প্রজাতির। এটি ছয় ফুট লম্বা। এর ওজন ১২০ কেজি।

রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে মৃত ইরাবতী ডলফিনটি ভেসে আসে।

বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইন্সটিটিউটের (বোরি) জ্যেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, ডলফিনটিতে তেমন কোনো আঘাতের চিহ্ন না থাকলেও পেছনের পাকনায় সামান্য আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে।

সমুদ্র গবেষণা ইন্সটিটিউট মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধানের চেষ্টা করছে জানিয়ে এই বিজ্ঞানী বলেন, “আমরা মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধানের চেষ্টা করছি। মৃত ডলফিনটি সম্পর্কে বন বিভাগকে খবর দেওয়া হয়েছে। তাদের জিম্মায় এটাকে পুঁতে ফেলা হবে।”

এছাড়া ডলফিনের পাশাপাশি টেকনাফের হাজমপাড়া ও কক্সবাজারের দরিয়ানগর সমুদ্র সৈকতে ভসে আসে ৪টি মৃত মা কাছিম। কাছিমগুলো অলিভ রিডলি প্রজাতির।

এর আগে ১৬ ফেব্রুয়ারি কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের কক্সবাজার শহর থেকে ১৮ কিলোমিটার দক্ষিণে সোনারপাড়া সৈকতে ও ২৬ কিমি দক্ষিণে পাটুয়ারটেক সৈকতে মৃত দুটো ডলফিন ভেসে আসে। এর আগে ১৭ ফেব্রুয়ারি কক্সবাজার শহর থেকে ৮ কিলোমিটার দক্ষিণে হিমছড়ি সৈকতে একটি ডলফিন ও তার আগের দিন শহরের সুগন্ধা পয়েন্ট সৈকতে একটি পরপইস এর মৃতদেহ ভেসে এসেছিল।

চলতি মৌসুমে কক্সবাজার শহর, রামু, উখিয়া, টেকনাফ, সেন্টমার্টিন ও সোনাদিয়া সৈকতে অন্তত ৮৫টি মরা সামুদ্রিক কচ্ছপ ভেসে আসে বলে জানান সমুদ্রবিজ্ঞানীরা।

কিন্তু কী কারণে হঠাৎ করে কক্সবাজার বঙ্গোপসাগরে ডলফিন, পরপরইসসহ এত সংরক্ষিত প্রাণী মারা যাচ্ছে তা বিজ্ঞানীদের কাছে এখনও পরিষ্কার নয়। তবে বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বোরি) মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. তৌহিদা রশীদ।

ড. তৌহিদা রশীদ। বলেন, ইতোমধ্যে মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধানে ফরেনসিক নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। ফরেনসিক রিপোর্ট পাওয়ার পরই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। প্রাণীগুলোর আবাসস্থলে কোনো বড় ধরনের সমস্যা হয়েছে কি না, তাও অনুসন্ধান করা হচ্ছে।

Link copied!