ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাবে ফেনীতে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষা পেতে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে নানা ব্যবস্থা। ইতোমধ্যে উপকূলে ৩৩টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে।
শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কামরুল হাসান এসব তথ্য জানিয়েছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় উপকূলীয় উপজেলা সোনাগাজীতে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে প্রশাসন। চার ইউনিয়ন, বিচ্ছিন্ন চরাঞ্চল ও উপকূলীয় এলাকার বাসিন্দাদের আশ্রয়ের জন্য ৩৩টি স্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র (সাইক্লোন শেল্টার), ১৪টি মেডিকেল টিম, ৪০ হাজার পানি বিশুদ্ধিকরণ ট্যাবলটসহ পর্যাপ্ত শুকনো খাবার মজুদ রাখা হয়েছে। এছাড়া ওসব এলাকায় ২ হাজার স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রয়েছেন।
ইউএনও কামরুল হাসান জানান, আশ্রয় কেন্দ্রের জন্য খাবারের বরাদ্দের পরিমাণ নির্ধারণ না থাকলেও চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহের সক্ষমতা রয়েছে। এখন পর্যন্ত ফেনীতে ৬ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। পরিস্থিতি সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণের জন্য ২৪ ঘণ্টা কন্ট্রোল রুম খোলা হবে।
কামরুল হাসান আরও জানান, সংকেত অনুযায়ী উপকূল ও চরাঞ্চলের বাসিন্দাদের আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে আসার জন্য স্বেচ্ছাসেবকরা মাইকিং শুরু করেছেন। এছাড়া উপকূলে মাছ ধরার নৌকা ও জেলেদের তীরবর্তী স্থানে থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি অনুযায়ী রেড ক্রিসেন্ট, পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও সিপিপি সদস্যদের পাশাপাশি উপজেলা প্রশাসন এবং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছেন।