মাঝারি আকারের বৃষ্টিপাতের পাশাপাশি মাঝে মাঝে দমকা হাওয়ার মধ্য দিয়ে বরগুনায় শুরু হয়েছে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাব।
রোববার (২৩ অক্টোবর) থেকে বরগুনাসহ উপকূলীয় বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টি শুরু হয়। দিনভর থেমে থেমে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হলেও সোমবার (২৪ অক্টোবর) মধ্যরাত থেকে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বেড়েছে।
এ ছাড়া ঘূর্ণিঝড়ের পাশাপাশি অমাবস্যার কারণে বরগুনার প্রধান তিনটি নদী পায়রা, বলেশ্বর ও বিষখালী নদীর পানি বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের কারণে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে মাইকিং করাসহ ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কমিয়ে আনার জন্য জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা করেছে বরগুনা জেলা প্রশাসন।
এ সভায় ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (পিপিপি) বরগুনার উপপরিচালক গোলাম কিবরিয়া বলেন, বরগুনার বেতাগী এবং বামনা উপজেলা ছাড়া জেলার বাকি চার উপজেলায় মোট ৮ হাজার ৪৬০ জন স্বেচ্ছাসেবক রয়েছেন।
বরগুনার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নুরুল ইসলাম বলেন, ১০ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। ভেঙে গেলে দ্রুত মেরামত করা প্রস্তুতি আছে।
জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান বলেন, বরগুনায় প্রায় চার লাখ মানুষের আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। মোট আশ্রয়কেন্দ্র ৬৪২টি। আমাদের হাতে ২৫ মেট্রিক টন চাল, ১ হাজার কার্টুন শুকনা খাবার, ৭০ প্যাকেট বিস্কুট, ১৯০ বান টিন আছে। প্রয়োজনে আরও বরাদ্দ দেওয়া হবে।