• ঢাকা
  • রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১, ৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৫

কালভার্ট ভেঙে মৃত্যু ফাঁদে পরিণত!


জয়পুরহাট প্রতিনিধি
প্রকাশিত: জুলাই ৩, ২০২৪, ০২:১১ পিএম
কালভার্ট ভেঙে মৃত্যু ফাঁদে পরিণত!

জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার একটি পাকা সড়কের ভাঙা কালভার্ট ছয় মাসেও তা সংস্কার করা হয়নি। প্রতিনিয়ত এ কালভার্টে চরম ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে কয়েকটি গ্রামের মানুষ। 

ওই কালভার্টের ওপর দিয়ে ভ্যান, টলি, ভটভটি,  ইজিবাইক ও মোটরসাইকেল ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। এতে যেকোনো মুহূর্তে বড় কোনো দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এ ছাড়া কৃষকের উৎপাদিত ফসল আনা-নেওয়া ও শিক্ষার্থীদের চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। 

মঙ্গলবার (২ জুলাই) সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার উদয়পুর ইউনিয়নের মোসলেমগঞ্জ-পানিতলার ওই রাস্তার ত্রিখোলা থেকে শেখপুর গ্রামের রাস্তার মাঝখানে অবস্থিত কালভার্টটির একপাশে ঢালাই ধসে রড বের হয়ে আছে। ভাঙা কালভার্টের ওপর দিয়ে বিভিন্ন ধরনের গাড়ি চলছে। মাঝে মধ্যে ছোটখাটো দুর্ঘটনা ঘটে। তবে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। 

পুর গ্রামের বাসিন্দা আমিরুল ইসলাম বলেন, কিছুদিন আগে ভাঙা ওই কালভার্টে মোটরসাইকেল ও অটোভ্যান পরে গিয়ে দুইজন আহত হন। উপায় না পেয়ে ঝুঁকি নিয়েই আমাদের উৎপাদিত কৃষিপণ্য বহন করতে হয়। দ্রুত এর সমাধান না করলে আরো বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

মালটিয়া গ্রামের মজনু আমীন বলেন, “৬ মাসের অধিক এ কালভার্টটি একপাশে ধসে আছে। দেখার যেন কেউ নেই।  আমিসহ হাজার হাজার মানুষকে এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে হয়। অনেক সময় মনেই থাকেনা কালভার্টটি ধসে গেছে। কালভার্টি যেন এখন একটি মৃত্যু ফাঁদ। চলাচলে খুব ঝুঁকিপূর্ণ মনে হলেও প্রয়োজনের তাগিদে বাধ্য হয়ে যাতায়াত করতে হয়।”

ইজিবাইক চালক নুরইসলাম ও মামুন, অটো ভ্যান চালক শুহেল, ট্রলি চালক আ. কাদের, ধানের ফড়িয়া ব্যবসায়ী মুমিন বলেন, “কালভার্ট ভেঙে যাওয়ায় চলাচল অনেকটা ঝুঁকিপূর্ণ হয়েছে। বর্তমানে এটি নাজুক অবস্থায় থাকায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ঝুঁকিপূর্ণ মনে করেই গাড়ি চালকদের কৃষকদের উৎপাদিত কৃষিপণ্য নিয়ে যেতে হচ্ছে। তাছাড়া কলেজ, স্কুল ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা ঝুঁকি নিয়ে ভাঙা কালভার্টের ওপর দিয়ে যানবাহনে যাতায়াত করছে। অনেক দিন ধরে ভাঙা থাকায় কালভার্টের ধসে যাওয়া অংশটি ধীরে ধীরে বড় হয়ে যাচ্ছে। ফলে দিন দিন ঝুঁকি আরও বাড়ছে। ভাঙা কালভার্টে  ছোটখাটো দুর্ঘটনা ঘটে থাকলেও ওই  গর্তে পড়ে মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।” 

উপজেলা প্রকৌশলী সামিন শারার ফুয়াদ বলেন, “আমি অতিরিক্ত দায়িত্ব নিয়ে উপজেলায় আসলাম মাত্র। এখন আমি এ বিষয়ে কিছু জানিনা। পরে খোঁজ নিয়েন।”

Link copied!