টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলায় ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে লাম্পি স্কিন ডিজিজ। এ রোগের নির্দিষ্ট কোনো চিকিৎসা না থাকায় লাম্পি ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছে বেশির ভাগ গরু।
জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, উপজেলার হেমনগর, ঝাওয়াইল, হাদিরা, নগদা শিমলা ইউনিয়নে এই রোগ বেশি ছড়িয়েছে। এবার ভাইরাসের ভ্যারিয়েন্ট একটু ভিন্ন হওয়ায় বাছুর গরুর আক্রান্তের হার বেশি।
উত্তর বিলডগা গ্রামের ইকবাল হোসেন বলেন, “আমার গরুও এ রোগে আক্রান্ত হয়েছিল। জেলার ভুঞাপুরের এক প্রাণীসম্পদ চিকিৎসকের পরামর্শে আমার গরু সুস্থ হয়েছে। বর্তমানে আমাদের গ্রামের অনেক গরু এ রোগে আক্রান্ত।”
বনমালী গ্রামের সুমন মিয়া বলেন, “চারিদিকে গরু মারা যাওয়ার খবর পাচ্ছি। জানি না আমার গরুর কী হবে।”
চরচতিলা গ্রামের বিল্লাল হোসেন বলেন, “কয়েকদিন আগে ভাইরাসে আক্রান্ত বাছুরটি সুস্থ না হয়ে নিস্তেজ হয়ে যাচ্ছে।”
গোপালপুর উপজেলা উপসহকারী প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা (কৃত্রিম প্রজনন) আলমগীর হোসেন বলেন, “ঝাওয়াইল ইউনিয়নের যতগুলো খামার বা গোয়ালে গিয়েছি তাতে বেশির ভাগ গরুই আক্রান্ত দেখেছি। এছাড়া এখন পর্যন্ত আটটি গরু মারা গেছে। লাম্পি স্কিন ডিজিজের নির্দিষ্ট কোনো চিকিৎসা না থাকায় উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর কর্তৃক কৃষক ও খামারিদের সচেতন করা হচ্ছে। আক্রান্ত প্রাণীকে পরিস্কারস্থানে আলাদা মশারির ভেতর রাখতে বলা হচ্ছে।”
এ বিষয়ে জেলার প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. রানা মিয়া বলেন, “শুধু গোপালপুরে নয় সারা দেশে প্রায় ৬০ শতাংশ গরু লাম্পিতে আক্রান্ত। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা প্রদান করা হচ্ছে। এছাড়া গোট পক্সের টিকা প্রয়োগ করা হচ্ছে। চাহিদা অনুযায়ী সরকারি, বেসরকারি টিকার সাপ্লাই একটু কম রয়েছে।”