সিলেটের কোম্পানীগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক পরিচয়ে চাঁদা দাবির অভিযোগে ৯ জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) আটকদের আদালতে পাঠানো হয়।
এর আগে বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাত দেড়টার দিকে উপজেলার নৌকাঘাট এলাকা থেকে তাদের আটক করে পুলিশে কাছে সোপর্দ করে স্থানীয়রা। পরে চাঁদাবাজির অভিযোগে কালীবাড়ি গ্রামের নুর আহমদ বাদী হয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানায় একটি মামলা করেন।
গ্রেপ্তাররা হলেন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বুরদের গ্রামের আবু সাঈদ রবিন (২২), একই গ্রামের শাহজাহান আহমদ (১৯), পাড়ুয়া নোয়াগাঁওর আরিফ হাসান জুবায়ের (২৭), টুকের বাজারের মো. রাজন মিয়া (২৫), শাকেরা গ্রামের দিদার হোসেন (২৫), কাঠালবাড়ির সেলিম মিয়া (২৫), শাহ আরেফিন গ্রামের মো. রফিকুল ইসলাম (২৬), বটেরতলের নাসির মিয়া (২৫) ও বাহাদুরপুরের সোলায়মান (২৭)।
মামলার বাদী নুর আহমদ জানান, বুধবার গভীর রাতে মামলার আসামিরা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়ক পরিচয়ে বালু ও পাথর শ্রমিকদের কাছে চাঁদা দাবি করে। খবর পেয়ে এলাকার লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে ৯ জনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বদিউজ্জামান জানান, আটকদের মধ্যে তিনজন নিজেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক দাবি করেছেন। পরে আটক ৯ জনসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করা হয়। পরে তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে বৃহস্পতিবার আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।