• ঢাকা
  • শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

গ্রামীণ অর্থনীতিতে সমবায়ের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ : স্থানীয় সরকার মন্ত্রী


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: আগস্ট ১২, ২০২৩, ০৪:২৬ পিএম
গ্রামীণ অর্থনীতিতে সমবায়ের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ : স্থানীয় সরকার মন্ত্রী
বার্ড এর ময়নামতি অডিটোরিয়ামে ৫৬তম বার্ষিক পরিকল্পনা সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, গ্রামের মানুষকে সুসংগঠিত করতে এবং তাদের অর্থনৈতিক উন্নতির জন্য সমবায় শক্তিশালী ভূমিকা রাখতে পারে। প্রান্তিক মানুষের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পুঁজি একত্রিত করে তা তাদের অর্থনৈতিক মুক্তির কাজে ব্যবহার করতে পারলে গ্রামীণ অর্থনীতির চেহারা আমূল পাল্টে যাবে। 

এ প্রসঙ্গে মন্ত্রী দক্ষিণ কোরিয়ার “নিউ কমিউনিটি মুভমেন্ট” এর উদাহরণ দিয়ে বলেন, কুমিল্লার বাংলাদেশ একাডেমী ফর রুরাল ডেভেলপমেন্ট (বার্ড) এর মডেল অনুসরণ করে দক্ষিণ কোরিয়া জনপ্রতিনিধিদের নেতৃত্বে তাদের গ্রামীণ অর্থনীতি শক্তিশালী ভিতের উপর দাঁড়া করাতে পেরেছে।

তিনি শনিবার (১২ আগস্ট) কুমিল্লায় বাংলাদেশ একাডেমী ফর রুরাল ডেভেলপমেন্ট (বার্ড) এর ময়নামতি অডিটোরিয়ামে ৫৬তম বার্ষিক পরিকল্পনা সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য এমপি এবং কুমিল্লা-৬ আসনের স্থানীয় সংসদ সদস্য এ.কে.এম বাহাউদ্দিন, এমপি।

এতে সভাপতিত্ব করেন পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সচিব মোসাম্মদ হামিদা বেগম। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ একাডেমী ফর রুরাল ডেভেলপমেন্ট (বার্ড), কুমিল্লার মহাপরিচালক মো. হারুন-অর-রশিদ মোল্লা।

মো. তাজুল ইসলাম স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের মাধ্যমে গ্রামীণ রাস্তাঘাটের ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে উল্লেখ করে বলেন, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের ফলে গ্রামীণ অর্থনীতি আরও শক্তিশালীকরণের সুযোগ আমাদের দেশেও তৈরি হয়েছে। সমবায়ের মাধ্যমে সে সুযোগ এখন আমাদেরকে নিতে হবে। শুধুমাত্র শহরের উন্নয়ন করে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে না। সমবায় দেশের গ্রামীণ অর্থনীতির শক্তিশালীকরণে গুরুত্বপূর্ণ নিয়ামক হতে পারে।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী আরও বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়তে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রথমে বাংলাদেশের মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করেন। তারপর বিদ্যুৎঘাটতির বাংলাদেশকে তিনি শতভাগ বিদ্যুতায়নের দেশে পরিণত করেন। আর এখন দ্রুতগতির ইন্টারনেট সেবা মোবাইলে থাকার ফলে জ্ঞান বিজ্ঞানের অবারিত দ্বার মানুষের হাতের মুঠোয় এসেছে। যার ফলে করোনা ও ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের মতো প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও আমাদের অর্থনীতি সামনের দিকে এগিয়ে চলেছে। বিশ্বের অনেক উন্নত দেশও এমন প্রতিকূল পরিস্থিতির মোকাবেলা করতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে।

এ সময় মন্ত্রী বলেন, “দক্ষিণ কোরিয়া যদি কুমিল্লা বার্ড মডেল অনুসরণ করে তাদের অর্থনীতির  পরিবর্তন আনতে পারে, সেক্ষেত্রে বার্ডের নীতি নির্ধারকদের আরও উদ্ভাবনী চিন্তা ভাবনা নিয়ে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। 
মন্ত্রী আরও বলেন, “উপার্জনের সুযোগ সৃষ্টি এবং জনসাধারণের জীবনমান উন্নয়নে কুমিল্লা বার্ড গবেষণা করে বিভিন্ন প্রকল্প নিতে পারে। 

এছাড়াও টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা, উন্নত বাংলাদেশ-২০৪১ ও ডেল্টা প্ল্যান-২১০০ সমন্বয়ে জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত থেকে বাংলাদেশকে রক্ষায় গবেষণা করার জন্য বার্ডের প্রতি আহবান জানান মন্ত্রী। 
 

Link copied!